দেশজুড়ে

১৫ বছরে ২৬ গুণ আয় বেড়েছে ‘দুর্নীতির বরপুত্র’ শম্ভুর

বরগুনা-১ আসনের সাতবারের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিপুল সম্পদের তথ্য নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। শুধু নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ১৫ বছরে তার আয় বেড়েছে ২৬ গুণ, আর স্থাবর সম্পদ বেড়েছে ছয়গুণ।

Advertisement

স্থানীয়রা তাকে ‘দুর্নীতির বরপুত্র’ আখ্যা দেন। তারা জানান, এর বাইরেও দেশ-বিদেশে তার গোপন সম্পদের পরিমাণ আরও অনেক বেশি। এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শম্ভু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে।

শম্ভু ও তার পরিবার এবং অনুসারীদের একচেটিয়া দাপটে গড়ে উঠেছিল তাদের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন প্রকল্প, টেন্ডার, সবখানে ছিল তাদের ত্রাসের রাজত্ব। ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম-দুর্নীতি, জমি জবর-দখল করে নিজ ও নিজ পরিবারের নামে দেশে-বিদেশে গড়েছেন অবৈধ সম্পদ। ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সংসদ নির্বাচনে ছয়বার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে পাঁচবারই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। এর মধ্যে টানা তিনবার বিজয়ী হয়ে সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে হেরেছেন আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থীর কাছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিয়োগ-বাণিজ্য থেকে শুরু করে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচি, কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচি, উন্নয়ন প্রকল্প—এমন কোনো খাত নেই, যেখান থেকে টাকা নেননি তিনি। নানা কৌশলে ও নামমাত্র মূল্যে অন্যের জমি নিজের নামে করেছেন। শম্ভু ও তার পরিবার এবং তার অনুসারীদের একচেটিয়া দাপটে গড়ে উঠেছিল তাদের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন প্রকল্প, টেন্ডার, সবখানে ছিল তাদের ত্রাসের রাজত্ব। ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম-দুর্নীতি, জমি জবরদখল করে নিজ ও নিজ পরিবারের নামে দেশে-বিদেশে করেছেন অবৈধ সম্পদ। ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সংসদ নির্বাচনে ছয়বার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে পাঁচবারই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। এর মধ্যে টানা তিনবার বিজয়ী হয়ে সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পেয়েও হেরেছেন আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থীর কাছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

‘দাদা’ শম্ভুর ছিল দোর্দণ্ড প্রতাপ, অনিয়ম-দুর্নীতির সাম্রাজ্য দুই মায়ের নামে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় খুলে লোক ঠকাতেন নুরুজ্জামান 

নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০৮ সালে দাখিল করা হলফনামায় আইন পেশা থেকে ব্যক্তিগত আয় দেখানো হয় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। ২০১৪ সালে দাখিল করা হলফনামায় ব্যক্তিগত আয় দেখানো হয় ২৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৩৬ টাকা। এখানে আইন পেশার পাশাপাশি আয়ের খাত হিসেবে দেখানো হয়েছে সঞ্চয়পত্রের সুদ, আইন পরামর্শক ও এমপি হিসেবে সম্মানি ভাতা। ২০১৮ সালে আইন পেশা পরিবর্তিত হয়ে রূপ নেয় ব্যবসায়; তবে তখনো দায়িত্ব পালন করেন পরামর্শক হিসেবে। আয় দাঁড়ায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। এই সময়ে হলফনামায় ব্যবসা, পরামর্শক, সঞ্চয়পত্র ও এমপি সম্মানি হিসেবে ব্যক্তিগত আয় দেখানো হয় ৪৫ লাখ ১৫ হাজার ৫৩৮ টাকা। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী আইন পেশা, ব্যাংক সুদ ও এমপি সম্মানি থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৫৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৩১ টাকা। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী সংসদ সদস্য শম্ভুর ব্যক্তিগত আয় বেড়েছে ২৬ গুণের বেশি।

বরগুনায় সম্পদ ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন শম্ভু। এমন কোনো জায়গা নেই যেখান থেকে তিনি লুটপাট করেননি। এত দুর্নীতির পরেও নিজের অফিস করেছেন উপজেলা পরিষদ ও নিজ সম্প্রদায়ের জমি দখল করে। শুনেছি ভারতেও তার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার সময়ে সব দপ্তরে তাকে কমিশন দিয়ে কাজ করতে হতো। তিনি বরগুনায় শুধু লুটপাটের রাজনীতিই করে গেছেন। তার ছেলের বিরুদ্ধেও আছে মাদক ব্যবসার অভিযোগ। আত্মীয়স্বজনকে দলীয় পদে বসিয়ে এমন বলয় তৈরি করেছিলেন, যেখানে অন্যরা ছিলেন কোণঠাসা।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ হিসেবে দেখিয়েছেন নিজ নামে নগদ ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৬০ টাকা, ব্যাংকে জমা করা অর্থের পরিমাণ ৩ লাখ, স্ত্রী মাধবী দেবনাথের নামে সেভিংস ১২ লাখ, স্ত্রী এবং তার নামে স্বর্ণ দেখিয়েছেন ৪০ ভরি, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী ৩৫ হাজার, আসবাপত্র ২২ হাজার ও স্ত্রীর নামে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি শটগান। স্থাবর সম্পদ হিসেবে দেখান নিজ নামে দশমিক ২০ একর জমি, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি একতলা দালান ও স্ত্রীর নামে ২৯ লাখ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট বাড়ি।

Advertisement

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নিজ নামে নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৬৮ টাকা । নিজ নামে ব্যাংকে জমা ২০ লাখ ৯৫ হাজার ৪৭৩ টাকা, নিজ নামে স্থায়ী আমানত ৬ লাখ ও স্ত্রীর নামে সঞ্চয়পত্র ১২ লাখ টাকা। নিজ নামে দুটি গাড়ি, যার মূল্য ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৮৬৭ টাকা ও স্ত্রীর নামে ১৬ লাখ টাকা মূল্যের একটি মাইক্রো। নিজ ও স্ত্রীর নামে ৩৬ হাজার টাকা মূল্যে ৪০ ভরি স্বর্ণ, ২২ হাজার টাকা মূল্যের ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, ২ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাপত্র। নিজ নামে একটি পিস্তল ও শটগান যার মূল্য ধরা হয়েছে ৬৪ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদ হিসেবে দেখানো হয়েছে ৩ একর কৃষিজমি, অকৃষি জমি ২ লাখ টাকা মূল্যের ২৩ দশমিক ২০ শতাংশ, ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের বাউন্ডারি ওয়ালসহ একতলা দালান, ২ লাখ টাকা মূল্যের টিনের দোতলা ল চেম্বার ও স্ত্রীর নামে ২৯ লাখ ৪৫ হাজার ১২৪ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট। এই হলফনামায় দায় হিসেবে গাড়ি ক্রয় বাবদ ব্যাংক ঋণ দেখিয়েছেন ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৩৭১ টাকা।

আরও পড়ুন

ডুপ্লেক্স বাড়ি এখন ধ্বংসস্তূপ, ‘দেশ ছেড়েছেন’ শামীম ওসমান  মানুষ আমাকে ভয় পায় না, ভালোবাসে 

এছাড়া একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় অস্থাবর সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন তার নিজ নামে নগদ ১ কোটি ২ লাখ ২৯ হাজার ৮৩৫ টাকা, সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানত ৪৮ লাখ ২১ হাজার ৩৫৫, দুটি মটরগাড়ি ৬২ লাখ ২০ হাজার, ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ২০ তোলা স্বর্ণ, ২০ হাজার টাকা মূল্যের ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, ২০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাপত্র ও ৯০ হাজার টাকা মূল্যের একটি শটগান, ৩২ বোর রিভলবার ও একটি ২২ বোর রাইফেল। স্থাবর সম্পদ হিসেবে দেখানো হয়েছিল ১৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের ২ দশমিক ৬৬ একর অনাবাদি কৃষিজমি, ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের নিজের বাসার দেওয়াল ও ঘর। একতলা দালান ও ২০ শতাংশ জমি, যার মূল্য দেখানো হয়েছিল ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া ল’ চেম্বার ও বাড়ির দেওয়াল বাবদ দেখানো হয়েছিল ৫ লাখ টাকা। এবং রাজউকে প্লটে অগ্রিম জমা দেখানো হয়েছিল ৩৯ লাখ টাকা। এখানে স্ত্রী কিংবা কোনো নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে কোনো অস্থাবর কিংবা স্থাবর সম্পদ দেখানো হয়নি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় শম্ভু তার অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন নিজ নামে নগদ ২ লাখ এবং তার স্ত্রীর নামে ২৫ হাজার টাকা। নিজ নামে ব্যাংকে জমার পরিমাণ দেখিয়েছেন ৩ কোটি ৩০ লাখ ৮০ হাজার ৩৯২ এবং স্ত্রীর নামে উল্লেখ করেছেন ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭১৪ টাকা। সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ নিজ নামে ৬৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯৪৭ এবং স্ত্রীর নামে উল্লেখ করেছেন ৭৬ লাখ ২৪ হাজার ৫১৪ টাকা। এছাড়া নিজের নামে ১ কোটি ৫ লাখ ২৯ হাজার ৩৮৬ টাকা মূল্যের দুটি মটরগাড়ি, নিজ ও স্ত্রীর নামে ২০ তোলা করে ৪০ তোলা স্বর্ণের মূল্য ৩৬ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাপত্র ৬০ হাজার এবং ২ লাখ টাকা মূল্যের নিজ নামে ২২ বোর রাইফেল ও একটি পিস্তল উল্লেখ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার সঙ্গে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু-ফাইল ছবি

স্থাবর সম্পদের মধ্যে শম্ভুর হলফনামায় এবার উল্লেখ করা হয়েছে, নিজের নামে ৭৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মূল্যের কৃষিজমি লিখে জমির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। অকৃষি জমির পরিমাণও উল্লেখ না শুধু মূল্য লেখা হয়েছে ৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এছাড়া জমি ক্রয় বাবদ অগ্রিম জমা হিসেবে দেখানো হয়েছে ৪ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে ৮২ লাখ ৬৯ হাজার ১২৪ টাকা মূল্যের দুটি অ্যাপার্টমেন্ট উল্লেখ করা হয়েছে। একমাত্র ছেলে সুনাম দেবনাথ আইন পেশায় যুক্ত থাকলেও হলফনামায় পরিবারের নির্ভরশীল কোনো ব্যক্তির আয়ের তথ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি, বাড়ি ও আয়ের কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন ভোটে কে কোথায় পাস করবে ঠিক করতো শহীদ পরিবার!  মান্নানের ছত্রছায়ায় শূন্য থেকে কোটিপতি ‘হাবিল-কাবিল’ 

এছাড়াও পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বরগুনা পৌরশহরের আমতলার পাড়ের বাড়ি, উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সংসদ সদস্য কার্যালয় ও শহরের টাউন হল এলাকার বাড়ির কোনো তথ্য উল্লেখ করেননি।

বরগুনা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম স্বপন বলেন, বরগুনায় সম্পদ ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন শম্ভু। এমন কোনো জায়গা নেই যেখান থেকে তিনি লুটপাট করেননি। এত দুর্নীতির পরেও নিজের অফিস করেছেন উপজেলা পরিষদ ও নিজ সম্প্রদায়ের জমি দখল করে। শুনেছি ভারতেও তার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার সময়ে সব দপ্তরে তাকে কমিশন দিয়ে কাজ করতে হতো। তিনি বরগুনায় শুধু লুটপাটের রাজনীতি করে গেছেন। তার ছেলের বিরুদ্ধেও আছে মাদক ব্যবসার অভিযোগ। আত্মীয়স্বজনকে দলীয় পদে বসিয়ে এমন বলয় তৈরি করেছিলেন, যেখানে অন্যরা ছিলেন কোণঠাসা।

শম্ভুর দুর্নীতির বিষয়ে বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন হাসান কবির শাহিন বলেন, একেবারেই নিম্নবৃত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। কোট চত্বরে দেখতাম সেরকম কোনো মক্কেলও ছিল না। এমপি হওয়ার পর থেকে হঠাৎ করেই তার উত্থান একেবারে অবিশ্বাস্য রকমের। ওনার ক্ষমতাকালীন সময়ে দুর্নীতি, অপশাসন, দুঃশাসন ও লুটপাটে পুরো বরগুনাকে তটচ্ছ করে রাখতো। উনি বরগুনায় গডফাদার হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছিলেন এবং দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবে আমরা তাকে দেখেছি। আমরা মনে করি উনি শত শত হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বরগুনার মতো একটি অবহেলিত জেলায় টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে তাকে কমিশন না দিলে কাজ করার সুযোগ ছিল না। মসজিদ ও মন্দিরের বরাদ্দ থেকেও উনি লুটপাট করতেন। এই দুর্নীতিবাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এসএইচএস/জিকেএস