সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টাটাস দিয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস। তিনি দাঙ্গার ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। দেশে দাঙ্গা হলে কাদের বেশি উপকার হবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। স্টাটাসটি জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
Advertisement
‘‘দাঙ্গা লাগলে ভারত বা আওয়ামী লীগ কিভাবে উপকৃত হতে পারে? দাঙ্গা লাগলে প্রথমত আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সমর্থন বাংলাদেশ হারাবে। স্যাংশন খেতে পারে। ট্রাম্পের কানে অলরেডি বন্ধুরাষ্ট্র আর আওয়ামী লীগ পড়া দিয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে তিনি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন।
যখন আন্তর্জাতিক সমর্থন সরকার হারাবে; তখন বিভিন্ন রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ডলার রিজার্ভ আরও কমে যাবে। দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার অভাব, কূটনৈতিক ব্যর্থতা, বাণিজ্য, দ্রব্যমূল্য—সব যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়, তখন জনগণ বলা শুরু করবে, ‘আওয়ামী লীগের আমলেই তো ভালো ছিলাম।’
আরও পড়ুন পরিবেশ উপদেষ্টাকে যা বললেন মাহবুব কবীর মিলন সোশ্যাল মিডিয়ায় মওলানা ভাসানীকে স্মরণএটা যদি জনগণকে দিয়ে বলানো যায়, তখন তারা ইলেকশন করে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে। বিরোধীদল হওয়ার চেষ্টা করবে। কয়েক বছর পর আবার ক্ষমতায় আসার পরিকল্পনা করবে। তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখলে ভারতের লাভ হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাথে তাদের যেসব গোলামি চুক্তি হয়েছে, সেগুলো বাঁচিয়ে রেখে বাংলাদেশকে একটি স্যাটেলাইট রাষ্ট্র বানিয়ে রাখা তাদের জন্য সবচেয়ে বিচক্ষণ ও বাস্তবিক রাষ্ট্রনীতি।
Advertisement
(তারা কখনোই আমাদের সামরিক আক্রমণ করবে না। তাদের জনগণ সেটা মেনে নেবে না। বাংলাদেশ দখল করতে অনেক সেনা লাগবে। প্রচুর গেরিলা যুদ্ধে মরবে। কূটনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাছাড়া বাংলাদেশের পেছনে যদি এত মনোযোগ দিয়ে কাজ করে, সেভেন সিস্টার বিদ্রোহ ঠেকাতে তাদের কষ্ট হবে। চীন আর পাকিস্তানের আক্রমণ প্রতিরক্ষায় তারা দুর্বল হয়ে যাবে। তাদের ভূ-রাজনৈতিক কূটনৈতিক দুর্বলতার কারণে তারা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল পরাশক্তি। তাদের প্রচুর সামরিক ব্যয় করতে হয়। কারণ তারা কোনো প্রতিবেশীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে পারেনি। সবাইকেই তারা শত্রু বানিয়ে রেখেছে।)’’
এসইউ/জিকেএস