আইন-আদালত

সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের জামিন

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির।

Advertisement

এর আগে গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে তার জামিন আবেদন নাকচ হয়েছিল।

আইনজীবী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাবুল আক্তার তিন বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি। এই দীর্ঘ সময়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তার বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা ছিল। এর মধ্যে সাবেক পিবিআই প্রধান বনজ কুমারের মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। চট্টগ্রাম মেট্রোর সাবেক প্রধান পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানার দায়ের করা একটি মামলাতেও তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। সবশেষ স্ত্রী হত্যা মামলাতেও হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি।

এর ফলে তার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

Advertisement

আরও পড়ুন বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর  সবাই বিচারক, আর আমি তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই খুনি: বাবুল আক্তার 

গত বছরের ১৩ মার্চ বাবুল আক্তারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত।

আসামিরা হলেন, বাবুল আক্তার, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম।

অভিযোগ গঠনের দিন চট্টগ্রাম মহানগরের তৎকালীন পিপি মো. আবদুর রশিদ জানিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে আসামি বাবুল আক্তার হত্যা করেন। বাবুল আক্তার যখন ঢাকায় ছিলেন তখন সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে ৩০২, ২০১ এবং ১০৯ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাত জনকে আসামি করে আদালতে ২ হাজার ৮৪ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ অভিযোগপত্র গত ১০ অক্টোবর গ্রহণ করেন আদালত। ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় মামলার বাদী ছিলেন বাবুল আক্তার।

Advertisement

ঘটনার কয়েক দিন পরেই মামলার তদন্তে নতুন মোড় নেয়। একপর্যায়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন। তদন্তের পর সেই মামলায় আসামি হন বাবুল আক্তার।

তবে বাবুল আক্তারের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, বাবুল আক্তারকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।

এফএইচ/এসএইচএস/এমএস/জিকেএস