সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানির পর আইনজীবী খুনের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে স্বপ্রণোদিত হয়ে ইসকন নিষিদ্ধ ও তিন জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করতে আদেশে চেয়ে এক আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৭ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ অগ্রগতি জানতে চান।
আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ এ বিষয়ে অগ্রগতি জানাবেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো.আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, আজকে একজন আইনজীবী পত্রিকা নিয়ে আদালতের দৃষ্টিতে আনেন সুয়োমোটো রুল ইস্যু করার জন্য। তার প্রার্থনার মূল প্রতিপাদ্য ছিল-ইসকনকে যেন নিষিদ্ধ করা হয় এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরে যাতে নির্দেশ দেওয়া হয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা এবং ইমার্জেন্সি ঘোষণা করা, আগামী অন্তত দুই সপ্তাহ। এই পরিস্থিতে আদালত তাকে ডেকে পাঠান।
Advertisement
তিনি আদালতকে বলেন, ইসকনের ইস্যুটা দুর্ভাগ্যজনক। যে আইনজীবী এটা এনেছেন তার হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, এই রক্তক্ষরণ বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ের। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এই ঘটনা ফৌজদারি অপরাধ। সরকার গুরুত্ব সহকারে এই ঘটনাটিকে দেখছেন, এটার যথযাথ আইনি পদক্ষেপ নেবেন।
তিনি আরও বলেন, এই সংগঠন রেজিস্ট্রার্ড কি না, এই সংগঠন নিষিদ্ধ হবে কি না , কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে-এই সবগুলো সরকারের পলিসি ডিসিশন। সরকার এটার খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ আইনিভাবে এটা দেখবেন। সব কিছু আদালতের সামনে এসে সুয়োমোটো নিষিদ্ধ করতে হবে- এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে আপনাদের (আদালতের) জুডিসিয়াল রিভিউ’র অ্যাকশনে যাওয়া উচিত না বলে মনে করেন তিনি। এটা সাংবিধানিক আইনের সঙ্গে কতটুকু যাবে এটা বিবেচনা করতে হবে। এটা প্রিম্যাচিউর।
মো.আসাদুজ্জামান বলেন, দেখেন সরকার কি করছে। সরকার কীভাবে হ্যান্ডেল করছে। সব পর্যালোচনা করে তারপর যদি হয় তখন প্রোপারওয়েতে আসলে দেখা যেতে পারে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে আদালত আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট। আদালত বলেছেন, কতটুকু প্রোগ্রেস আছে কাল সকালে জানাতে। জানাবো।
এফএইচ/এসএনআর/এমএস
Advertisement