ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদের ডি-চকে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল তেহরিক-ই-ইনসাফ। এ জন্য তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গত ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
Advertisement
তবে সরকারের বাধায় দলটির এই যাত্রায় ধীর গতি আসে। সবশেষ ইমরান সমর্থকরা ২৬ নভেম্বর রাতে গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হলেও সরকারের অনড় অবস্থানের কারণে পিছু হাঁটতে হলো।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) পিটিআইয়ের মিডিয়া সেল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সরকারের নৃশংস পদক্ষেপের কারণে শান্তিপূর্ণ সামবেশ আপাতত স্থগিত করা হলো।
ইমরান খানের পরবর্তী দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ভবিষৎ পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে বলেও জানিয়েছে সাবেক ক্ষমতাসীন দলটি।
Advertisement
এর আগে, পিটিআইয়ের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এতে ইসলামাবাদের আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েন করে।
পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে উভয় পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তান সরকারের প্রতি মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি সংবিধান মেনে চলারও তাগিদ দিয়েছে ওয়াশিংটন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানাই এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তাদের সংবিধানের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের পরামর্শ দেই।
সূত্র: জিও নিউজ
Advertisement
এমএসএম