পেটের মেদ-ভুঁড়ি নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই অনেকেরই। শরীরচর্চা করে কিংবা কঠোর ডায়েট করে অনেকেই ওজন কমান, তবে পেটের চর্বি সহজে গলে না। যারা শত চেষ্টা করেও পেটের মেদ কমাতে পারছেন না, তারা কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন। এই নিয়মগুলো মেনে চললে কম সময়েই ‘বেলি ফ্যাট’ কমাতে পারবেন।
Advertisement
দিনের পর দিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হরমোনের ওঠা-নামার প্রভাবে তলপেট অংশে জমতে পারে ফ্যাট। তাই বেলি ফ্যাট বা পেটের চর্বি কমাতে প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম প্রয়োজন।
সকালের খাবার মাস্টওজন কমাতে হলে স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প নেই। দিনের শুরুতেই আপনি কী খাচ্ছেন, তার উপর অনেকটাই নির্ভর করে বেলি ফ্যাট। এজন্য ব্রেকফাস্টে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
তাহলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড সুগার। এছাড়া মেটাবলিজম রেটও বাড়বে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে আবার মেদ-ভুঁড়ির সমস্যাও কমবে।
Advertisement
সকালে ঘুম থেকে উঠে অন্তত ১৫ মিনিট ধ্যান বা মেডিটেশন করুন। এতে সারাদিন শরীর থাকবে ঝরঝরে। পেটের মেদ কমাতেও সাহায্য করে এই অভ্যাস। কারণ স্ট্রেস থেকে ওজন বাড়ে।
আরও পড়ুন ফুলকপি খাবেন নাকি বাঁধাকপি? শীতে দৈনিক একটি করে কমলা কেন খাবেন?আর স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়লে, নানা ধরনের খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এক্ষেত্রে মেডিটেশন হতে পারে সহজ সমাধান। এতে শরীরের হরমোনের ক্ষরণে অসামঞ্জস্য থাকলেও তাও দূর করে।
নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরিপেটের মেদ কমানোর অন্যতম উপায় হলো নিয়মিত শরীরচর্চা করা। নিয়মিত শারীরিক কসরতের মাধ্যমেই আপনার তলপেটের অংশের মেদ কমবে।
সকালে উঠে হালকা ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম কিংবা যোগাসন করুন। এর সঙ্গে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে এমন কয়েকটি ব্যায়াম নিয়ম করে করুন। এতে দ্রুত কমবে তলপেটের অংশে জমে থাকা মেদ।
Advertisement
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পানের অভ্যাস ভেতর থেকে আপনার শরীরকে যেমন সুস্থ রাখবে, ঠিক তেমনই আপনার ত্বকও ভালো রাকবে। ওজন কমাতে হলে শরীর হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। না হলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
ডিহাইড্রেশনের কারণে ওজনও বাড়তে পারে। তাই সকালে উঠে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পাস করুন। এর ফলে শরীরের মেটাবলিজম রেট বাড়বে। ফলে কমবে ওজন।
সূত্র: এবিপি লাইভ
জেএমএস/জিকেএস