খেলাধুলা

এবার ফিক্সিং সন্দেহে সাকিবের দল বাংলা টাইগার্স

সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলমান আবুধাবি টি-টেন লিগে গাঢ় হচ্ছে ফিক্সিংয়ের ছায়া। ৩ দিনের ব্যবধানে দুবার আলোচনায় এসেছে স্পট-ফিক্সিং। পেসারদের অস্বাভাবিক নো-বলের কারণে ফিক্সিংয়ের আভাস পেয়েছেন অনেকে।

Advertisement

গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর) স্যাম্প আর্মি ও নিউইয়র্ক স্ট্রাইকার্স ম্যাচে অস্বাভাবিক এক নো-বল করেন হযরত বিলাল নামের এক পেসার। স্যাম্প আর্মির হয়ে খেলছিলেন তিনি।

বল করার সময় বিলালের পা কম করে হলেও পপিং ক্রিজ থেকে এক ফুটের মতো বাইরে চলে যায়। বিষয়টি অবাক করে সমর্থকসহ বিলালের সতীর্থদের। ঘটনার সময়ের একটি ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি হাসির ইমোজি দিয়ে লেখেন, ‘এটা কী ফ্রি-হিট ছিল?’

তিনদিন না যেতেই ফিক্সিং সন্দেহের কবলে পড়েছে সাকিব আল হাসানের দল বাংলা টাইগার্সও। সেটা শ্রীলঙ্কা পেসার দাসুন শানাকাকে নিয়ে।

Advertisement

গতকাল সোমবার দিল্লি বুলসের বিপক্ষে খেলতে নামে বাংলা টাইগার্স। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে দিল্লি বুলস। বল করতে এসে ৩ বলে ৩০ রান দিয়ে বসেন শানাকা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠেছে ফিক্সিংয়ের গুঞ্জন।

দিল্লি বুলসের ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে আসেন শানাকা। লঙ্কান ডানহাতি পেসারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকান নিখিল চৌধুরী। এরপর টানা দুটি নো-বল করেন শানাকা। ওই দুই বলেও বাউন্ডারি মারেন নিখিল।

পরের বলটি ঠিকমতো করলেও বাঁচতে পারেননি বাউন্ডারি হজম থেকে। তৃতীয় বলে নিখিল হাঁকান ছক্কা। এরপর পুনরায় নো-বলের হিড়িক। এবারও টানা দুটি নো-বল ছাড়েন শানাকা। যার শেষ বলটিতে হয়েছে আরও এক বাউন্ডারি। অর্থাৎ ৩টি বৈধ বলে তিনি খরচ করলেন ৩০ রান (৪, নো-বল ও ৪, নো-বল ও ৪, ৪, ৬, নো-বল, নো-বল ও ৪)।

ওই ওভারে শানাকা খরচ করেন মোট ৩৩ রান।

Advertisement

বড় অভিযোগ ওঠার ম্যাচেও জয় পেয়েছে বাংলা টাইগার্স। জিতেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ৩ ম্যাচে বাংলা টাইগার্সের এটিই প্রথম জয়।

প্রথমে নির্ধারিত ১০ ওভারে ৬ উইকেটে ১২৩ রান করে দিল্লি বুলস। জবাবে লিয়াম লিভিংস্টোনের ১৫ বলে ৫০ রানের মারকুটে ইনিংসের সুবাদে ২ বল হাতে রেখে জয় পায় বাংলা টাইগার্স।

গতকাল দিনটা ভালো যায়নি সাকিবেরও। এক ওভারে ২৫ রান খরচা করেন টাইগার অলরাউন্ডার। ব্যাটিংয়ে অবশ্য সাকিবকে নামতে হয়নি। তার আগেই বাংলা টাইগার্স পৌঁছে যায় জয়ের ব্ন্দরে।

এমএইচ/জেআইএম