জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। মজিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তির নামে কোম্পানি খুলে ১২ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার ঘটনায় এ মামলা করেন তিনি।
Advertisement
সোমবার (২৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান। আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
মামলায় সাইফুল আলম মাসুদ বাদেও তার সাবেক পিএস এস এম নজরুল ইসলাম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক জোনাল হেড ওয়াহিদুর রহমান, চকবাজার শাখার কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ও শাহাব উদ্দিন, জুনিয়র অফিসার নজরুল ইসলাম এবং সাবেক ম্যানেজার মো. ওসমানকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী মজিবুর রহমান চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার ইমামনগর শিকদার পাড়া গ্রামের কায়কোবাদ চৌধুরীর ছেলে।
আরও পড়ুনগ্রেফতার এড়াতে ২২ বছর আত্মগোপনে ছিলেন তিনি ১০ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি, চট্টগ্রামে নিশান সাফারি গাড়ি জব্দমামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক। তিনি বলেন, প্রতারণামূলকভাবে মামলার বাদী মজিবুর রহমানের অজ্ঞাতসারে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে একটি ভুয়া কোম্পানি নিবন্ধন করা হয়। পরবর্তী সময়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখা থেকে ১২ কোটি টাকা ঋণ দেখানো হয়। এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত সিআইডিতে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
Advertisement
মামলার বাদী মজিবুর রহমান বলেন, ২৫ বছর ধরে আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করে আসছি। কখনো জুট মিলে, কখনো কারখানায় এবং এখন রেস্টুরেন্টে কর্মচারী হিসেবে কাজ করছি। কখনো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় যাইনি। আদালতের একটি সমন পাওয়ার পর জানতে পারি আমার নাম ও ওয়াসিকা আক্তার নূপুর দুজনের নামে ‘নিলিমা নীল অ্যাগ্রো’ নামে কোম্পানি জয়েন্ট স্টকে ২০১৪ সালে নিবন্ধন করানো হয়। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখা থেকে ১২ কোটি ঋণও দেওয়া হয়। অথচ এসবের সবকিছুই আমার অজ্ঞাতসারে হয়েছে। আদালত থেকে যখন আমার নামে নোটিশ আসে, তখনই আমি এ জালিয়াতি ও প্রতারণার ঘটনা জানতে পারি। নূপুর নামে ওই নারীকে আমি চিনিই না।
এমডিআইএইচ/কেএসআর