স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, শিক্ষার্থীরা যখন যাত্রাবাড়ী পার হয় তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়। কিন্তু বাধা টপকে পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে তারা সেদিক দিয়ে চলে যায়। পুলিশ আগের প্র্যাকটিসে গেলে ছাত্ররাও আক্রমণ করতো, প্রতিউত্তরে গুলি ছোড়া হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হতো।
Advertisement
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, স্বাভাবিকভাবে পুলিশ তাদের (শিক্ষার্থীদের) বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যারিকেড টপকিয়ে তারা যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের থামানো ও দমানোর চেষ্টা করে। এখন মোটামুটি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যারা এ ধরনের ঘটনায় জড়িত সিসিটিভি ফুটেজ, গণমাধ্যমের ফুটেজে দেখে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের নতুন নিয়োগ চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৩শ থেকে ১৪শ এসআই ও সাড়ে চার হাজার কনস্টেবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান আছে। পুলিশের রদবদল বলতে বদলি করা হয়েছে। তবে, আমরা বলতে চাচ্ছি রায়ট মোকবিলার ড্রিল পরিবর্তনের পরিকল্পনা পুলিশের নতুন নেতৃত্বের আছে। তারা আন্তর্জাতিক নিয়মে পুলিশকে সেই ড্রিলটা করাবেন এবং শেখাবেন। যেন আগামী দিনে পুলিশকে যাতে জনগণের বিরুদ্ধে কিংবা আন্দোলন মোকাবিলায় গুলি করতে না হয়। হতাহতের ঘটনা এড়িয়ে পুলিশ যাতে ব্যবস্থা নিতে পারে। সেভাবে পুলিশকে তৈরি করা হবে। তবে তার জন্য যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন।
Advertisement
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, যার যা মতামত সেটা সংস্কার কমিশনে দিতে পারবে। ধ্বংসাত্মক পদ্ধতিতে না গিয়ে গঠনমূলক পদ্ধতিতে দেশকে কীভাবে গড়তে পারি সেদিকে যেন মনোযোগ দিতে পারি।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় কারও ইন্ধন রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে আসিফ মাহমুদ বলেন, অনেক ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করার আগ পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অতীতের সরকারের আন্দোলন মোকাবিলার প্রক্রিয়া থেকে সরকার সরে এসেছে। অনেকেই দেখতে চান না আমাদের পুলিশ লাঠিচার্জ করুক। সে জায়গা থেকে আমাদের সরে আসা। আমরা পরিস্থিতি মনিটর করছিলাম। তাদের বাধাও দেওয়া হয়েছিল। ঘটনা যেটা ঘটেছে সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
Advertisement
এমওএস/কেএসআর