সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার নাম করে মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকার একটি সমাবেশে নিয়ে যাওয়া হয় চার শতাধিক নারী-পুরুষকে। তবে এদের কেউই জানতেন না তারা প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছেন। যাত্রীবাহী বাসটি শাহবাগে পৌঁছানোর পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জেরার মুখে পড়ে। তবে যাত্রীরা সদুত্তর দিতে না পারায় পাঁচটি বাস ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এসময় ছাত্র-জনতার হাতে মারধরের শিকার হন অনেকে।
Advertisement
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে মানিকগঞ্জ পৌরসভার জরিনা কলেজ এলাকা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঁচটি বাস ছেড়ে যায়।
মো. দবির উদ্দিন (৫০) নামের একজন সাধারণ মানুষদের সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার নাম করে ঢাকায় নিয়ে যান। তার বাড়ি মানিকগঞ্জ পৌরসভার জরিনা কলেজ মোড় এলাকায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা প্রতারক দবিরকে ঘেরাও করে আটকে রাখে এবং তাদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত চান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে যৌথবাহিনীর সদস্যরা দবিরকে গ্রেফতার করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতা দবিরের শাস্তির দাবিতে তার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
Advertisement
নাজমা বেগম নামের একজন ভুক্তভোগী বলেন, ‘ঢাকায় ড. ইউনূসের একটা সমাবেশ আছে বলে আমাদের জানানো হয়। বলা হয়, সমাবেশ শেষে আমাদের সুদমুক্ত এক লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। পরে দবিরের অফিসে আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে আসি। এসময় আমাদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে নেওয়া হয়। পরে ঢাকায় গিয়ে প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারি।’
খাদিজা বেগম, লতা সাহা, বিলকিস বেগম ও আলো আক্তার বলেন, ‘গাড়ি থেকে ঢাকার শাহবাগে নামার পর স্থানীয় লোকজন আমাদের মারধর করে। পুলিশ আমাদের গাড়িগুলো ফিরিয়ে দেয়। পরে আমরা মানিকগঞ্জ চলে আসি।’
তারা আরও বলেন, আমরা এখনো টাকা ফেরত পাইনি। তবে দবির গ্রেফতার হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমানুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, দবির উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Advertisement
এসআর/এএসএম