নাটোরের বড়াইগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতনের শিকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী উজ্জ্বল কুমার মন্ডলের (২৫) বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজখবর নিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
Advertisement
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে স্বল্প সংখ্যক নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর শ্মশানপাড়া এলাকায় উজ্জ্বল কুমারের বাড়িতে যাযন তিনি।
এসময় রুহুল কবির রিজভী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উজ্জ্বলের মা ছায়া রানীর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি চিকিৎসাধীন উজ্জ্বলের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং হামলার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য পুলিশ প্রশাসনসহ দলীয় নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন তিনি।
আহত উজ্জ্বল কুমারের বাবা বিশু মন্ডল বলেন, ‘আমরা অনেক খুশি। আমরা হিন্দু মানুষ। অনেক ভয়ে ছিলাম। ভয়ে আমার সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বউমাকে (উজ্জ্বলের স্ত্রী) তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। বিএনপির ওই বড় নেতাসহ এলাকার আরও নেতাকর্মী আমাদের বাড়িতে আসার পর এখন শান্তি পাচ্ছি। ভয় দূর হয়েছে।’
Advertisement
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুর রহমান, বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও মাঝগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রভাষক আব্দুল আলীম, বনপাড়া পৌর বিএনপির সদস্যসচিব সরদার রফিকুল ইসলাম, বনপাড়া পৌর যুবদলের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ সালমান, বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ।
স্থানীয়, পরিবার ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী উজ্জ্বল কুমার বাড়িতে এসেছেন খবর পেয়ে বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর শ্মশানপাড়ার বাড়িতে আসেন শ্রমিক দলের নেতা জালাল ভূঁইয়া, যুবদলের নেতা জাহাঙ্গীর আলমসহ ৭-৮ জন নেতাকর্মী। আওয়ামী লীগের শাসনামলে চাঁদাবাজি ও মাস্তানি করার অভিযোগ তুলে তারা বৃদ্ধ মা-বাবা ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সামনে উজ্জ্বলকে বেধড়ক মারধর এবং পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, উজ্জ্বলের বাড়িতে আসার আগে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব থানায় আসেন এবং উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
রেজাউল করিম রেজা/এসআর/জেআইএম
Advertisement