বগুড়ার পৌর পার্ক মসজিদের সামনের রাস্তার ধারে জমে উঠেছে তৃপ্তি পিঠা ঘর। এখানে প্রতি সন্ধ্যায় ১০ টাকায় পিঠার সঙ্গে মিলছে ২৮ রকমের ভর্তা। এমন আকর্ষণীয় অফার নিয়ে আসা এ দোকানটি এখন শীতের রাত্রি উপভোগের জন্য এক বিশেষ স্থান হয়ে উঠেছে।
Advertisement
তৃপ্তি পিঠা ঘরের উদ্যোক্তা মাহাফুজার রহমান মামুন, তিনি লালমনিরহাটের বাসিন্দা। ঢাকায় চাকরি করার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেন আর চাকরি করবেন না। স্বাধীনভাবে কিছু করবেন। তাই বগুড়ার শ্বশুরবাড়ি শেকপালা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এসে শুরু করেন পিঠা-ভর্তার ব্যবসা। স্ত্রী বিউটি বেগম তাকে ব্যবসায় সহযোগিতা করেন। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল হলেও দুজনের পরিশ্রম আর স্বপ্নের সঙ্গে ব্যবসা ভালো চলছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর তাদের ব্যবসা উন্নতি করেছে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৬ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হচ্ছে। দোকানে চারকর্মী কাজ করছেন। যাদের প্রত্যেককে ১৪৫০ টাকা বেতন দেওয়া হয়।
তৃপ্তি পিঠা ঘরের বিশেষ আকর্ষণ হলো এখানে পাওয়া ২৮ রকমের ভর্তা। এরমধ্যে রয়েছে সরিষা, ধনেপাতা, টমেটো, কামরাঙ্গা, বাদাম, কাঁচামরিচ, মিক্সড, তিল, শুকনা মরিচ, চেপা শুঁটকি, চিংড়ি শুঁটকি, লটে শুঁটকি, জলপাই, বেগুন, তৃষী, কাঁচা হলুদ, গাজর, কালোজিরা, পুদিনা পাতা, ইলিশ শুঁটকি, নারকেল, ফুলকপি, ডাল, আমলকী, শাটকি মাছ, পাতাকপি ও বুটের ডাল ভর্তা—এ সব ভর্তা তাজা উপকরণ দিয়ে তৈরি।
পিঠার তালিকাও বেশ বৈচিত্র্যময়। যেখানে পাওয়া যায় ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ চিতই, পাটিসাপটা—সবই ১০ টাকার মধ্যে। যা ভোজন রসিকদের কাছে সাশ্রয়ী এবং আকর্ষণীয়। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত স্টলের সামনে জমে ওঠে ভোজন উৎসব। একদিকে খাবারের মজাদার বৈচিত্র্য, অন্যদিকে শীতের অনুভূতি। সব মিলিয়ে এটি হয়ে উঠেছে বগুড়ার এক জনপ্রিয় স্থান।
Advertisement
মামুন বলেন, আমার লক্ষ্য ছিল মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো খাবার দেওয়া। যা শুধু খেতে মজার হবে না বরং একটিকে আনন্দিত করবে। ভবিষ্যতে ভর্তার তালিকা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তৃপ্তি পিঠা ঘর শুধু খাবারের জন্য নয় এটি সামাজিক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
এলবি/আরএইচ/জিকেএস