দুটো হাতই অকেজো। পায়ের পাতাও আর দশজনের মতো স্বাভাবিক না। তবুও থমকে দাঁড়ায়নি সাল সাবিলা। জন্মের পর থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পাত্তা না দিয়ে এগিয়ে চলেছে সে। ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় মাহিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে অংশ নিয়ে জিপিএ ২.৮৩ পেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছে সে। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় সাল সাবিলা। সেও দেখিয়ে দিতে চায় তার কাছে প্রতিবন্ধিতা কোনো বাধাই না। তাই নিজের ভবিষ্যৎ ইচ্ছে পূরণে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছে সাল সাবিলা।রংপুর নগরীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাহিগঞ্জ খোর্দ্দ রংপুর হাওয়াইয়াটারী গ্রামের শাজাহান মিয়ার একমাত্র মেয়ে সাল সাবিলা আক্তার নিশাত। পিএসসিতে জিপিএ ৩ এবং জেএসসিতে ২.৩১ পেয়ে এবার এসএসসিতে ২.৮৩ পেয়েছে সে। কোনো প্রতিবন্ধকতাই থামাতে পারেনি তাকে।বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের পীরগাছা উপজেলায় সেচ প্রকল্পে ম্যাকানিকাল পদে কর্মরত সাল সাবিলার বাবা শাজাহান মিয়া। তার মা রোকসানা বেগম একজন গৃহিণী। শাজাহান মিয়া জানান, জন্মের পর থেকেই তার মেয়ে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধি। হাত দিয়ে কোনো কাজ করতে পারে না। পায়ের পাতা দু’টো বাঁকানো হওয়ায় ঠিকমত হাঁটতেও পারে না সে। পেশাগত কারণে বাইরে থাকায় তার স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সাল সাবিলার দেখাশোনা করেন। তাদের সাহায্য নিয়েই চলাচল করতে হয় তাকে। তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সাল সাবিলা। তিনি আরো জানান, বড় ছেলে সাগর কারমাইকেল কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে মাস্টার্স শেষ করার পর চাকরির চেষ্টা করছে। ছোট ছেলে জাহিদ হাসান সোহাগ ঢাকায় একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করছে। সাল সাবিলারও ইচ্ছে ভাইয়ের মত পড়াশুনা শেষ করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে। জিতু কবীর/এফএ/এবিএস
Advertisement