ইংল্যান্ড সফরকে সামনে রেখে করাচির ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমীতে চারদিনের ফিটনেস ট্রেনিং শুরু করছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তবে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও উমর আকমলসহ শীর্ষ পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা নিজেদের ফিটনেস প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। বিভিন্ন ফিটনেস টেস্টে আরো যারা ব্যর্থ হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন শোয়েব মাকসুদ, স্পিনার সাইদ আজমল ও জুলফিকার বাবর। ট্রেনার গ্র্যান্ট লুডেনের দেয়া ফিটনেস টেস্টে প্রত্যাশানুযায়ী পারফর্ম করতে পারেনি খেলোয়াড়রা।পিসিবি সূত্রে জানা গেছে লুডেনের দেয়া পয়েন্ট ভিত্তিক এই ফিটনেস টেস্টে নূন্যতম ১৭ ধরা হয়েছিল নিজেদের ফিটনেস প্রমাণের সর্বনিম্ন পয়েন্ট হিসেবে। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত: বেশ কিছু খেলোয়াড় এই মার্ক উত্তীর্ণ করতে পারেননি। চুক্তিভূক্ত খেলোয়াড়দের সামনে এই লক্ষ্য পূরণে তিন মাসের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। যারা পূরণ করতে পারবে না তাদেরকে জরিমানা করা হবে। আর এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারলে তাদেরকে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করা হবে।তবে ট্রেনারের ভূমিকা নিয়ে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আপত্তি তুলেছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাদের অভিযোগ মতে লুডেন ও তার দল ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলী, পেসার ওয়াহাব রিয়াজকে বাড়তি সুবিধা প্রদান করেছেন। কিন্তু পিসিবি এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। সিনিয়র খেলোয়াড় শহীদ আফ্রিদী ও মোহাম্মদ হাফিজের মত খেলোয়াড়রা ইনজুরির কারনে এই ফিটনেস টেস্টে যোগ না দিলেও টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক, ইউনিস খান নিজেদের বয়সকে উপেক্ষা করে অন্যতম ফিট খেলোয়াড় হিসেবে এই টেস্টে নিজেদের প্রমাণ করেছেন।এমআর/আরআইপি
Advertisement