বিএনপির সামনে একটি অসম্ভব শক্তিশালী অদৃশ্য দেওয়াল অপেক্ষা করছে বলে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
Advertisement
তারেক রহমান বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচার হাসিনার পতন ঘটাতে সফল হয়েছে। বাংলাদেশের সৃষ্টির পর সবচেয়ে বড় যে স্বৈরাচার ছিল তার পতন হয়েছে। তারা কৃষি, শিক্ষা, অর্থনীতি, বিচারব্যবস্থা, সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্যসহ প্রত্যেক সেক্টরকে গত ১৫ বছরে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।
শেখ হাসিনার পতন পরবর্তী সময়ের বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের অনেকেই মনে করেন, আহা রে, সামনে তো নির্বাচনে ফাঁকা মাঠ। দয়া করে এই ভুল করবেন না। বিশ্বাস করুন, সামনে একটি অসম্ভব শক্তিশালী অদৃশ্য দেওয়াল আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। যেটি ভেদ করে যেতে খুব কষ্ট হবে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করুন। সব প্রত্যাশা এখনই পূরণ করতে পারবেন না। যদি ইনশাআল্লাহ আমরা সরকার গঠন করি, অনেকাংশেই সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হবো। জনগণ যেন আপনার ওপর আস্থা রাখে, ধৈর্য ধারণ করে সেভাবে সেই ভূমিকা আপনাকে পালন করতে হবে।
আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপির সব শক্তি বা রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎসই হচ্ছে জনগণ। আমরা একটি দায়িত্বশীল দলের ভূমিকা পালন করি। তারা (আওয়ামী লীগ) তো বসে নেই। তারা ষড়যন্ত্র করছে। যদি তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়, আপনার মামলা তো উঠবেই না বরং জ্যামিতিক হারে মামলা হবে। সেই সম্ভাবনাও কিন্তু আছে। নিজেকে যদি রক্ষা করতে হয় রাস্তা একটাই জনগণের আস্থা রক্ষা করা, এর বাইরে কোনো উপায় নেই।
Advertisement
তারেক রহমান বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছে। এই নতুন অধ্যায়ের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী জনগণ। জনগণের রায়ের মাধ্যমেই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। রাজনীতি, জনগণ বা ইতিহাসের পাতায় যদি টিকে থাকতে চাই, এই দেশের জন্য জনগণ যা চায় সেরকম কাজের বাইরে কিছু করলে আমরা টিকে থাকতে পারবো না। টিকে থাকতে হলে অবশ্যই জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত খালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, রাসিকের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট টু দ্যা চেয়ারপারসনস ড. মাহাদী আমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহী বিভাগীয় যুবদলের সহসভাপতি মো. মাহফুজুর রহমান রিটন প্রমুখ।
সাখাওয়াত হোসেন/জেডএইচ/জেআইএম
Advertisement