জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এএসএম আমানুল্লাহ বলেছেন, বিগত দিনের ভঙ্গুর শিক্ষাব্যবস্থা দেশের শিক্ষাখাত ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। এ ধ্বংসযজ্ঞের বোঝা এখন এসে পড়েছে আমাদের কাঁধে। আমরা বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছি, যাতে ভঙ্গুর শিক্ষাব্যবস্থা দ্রুত সংস্কার করে জাতিকে আলোর মিছিলে নিয়ে আসতে পারি।
Advertisement
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ইলিয়টগঞ্জ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফাউন্ডেশন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আমানুল্লাহ বলেন, ৫২ বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা দেশ স্বাধীন করেছিলেন। ২০২৪ সালে শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মীর মুগ্ধরা তাদের জীবন দিয়ে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে আমাদের মুক্ত করেছেন। আমাদের এনে দিয়েছেন দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বাদ। আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাধ্যমে তাদের ত্যাগের কথা স্মরণ রাখতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদদের স্মৃতিফলক নির্মাণ করার পদক্ষেপ নিয়েছি। সেই সঙ্গে প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তিন লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স কোর্সে শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক ট্রেড কোর্স চালু করবো। যাতে শিক্ষাজীবন শেষ করে শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভালো চাকরি করতে পারেন।
Advertisement
এসময় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফাউন্ডেশন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নূরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ পরিদর্শক মো. জহিরুল ইসলাম, ড. মোশাররফ হোসেন ফাউন্ডেশন কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জাহিদ পাটোয়ারী/জেডএইচ/জেআইএম