দেশজুড়ে

যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ৮৫

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে গত বছরের বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেছে যশোর বোর্ড। এ বছর এ বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ৮৫ ভাগ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৪৪৪। চলতি ২০১৬ সালে যশোর বোর্ড থেকে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৯৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এদের মধ্যে ছাত্র ৬৯ হাজার ২১৭ জন ও ছাত্রী ৬৬ হাজার ৭৭৭ জন। পাসের হার ৯১ দশমিক ৮৫ ভাগ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৪৪৪ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৮৫ ও ছাত্রী ৪ হাজার ৩৫৯ জন। অথচ গত বছর যশোর বোর্ড থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৮৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৯০৮ জন। পাসের হার ছিল ৮৪ দশমিক ৫১ ভাগ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭ হাজার ১৯৮ জন শিক্ষার্থী। যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, চলতি বছর যশোর বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা প্রায় ২৩শ’ বৃদ্ধি পেয়ে ৯ হাজার ৪৪৪ এ দাঁড়িয়েছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ১৮১। সূত্র মতে, এ বছর যশোর বোর্ডে তাক লাগানোর মত ফলাফল করেছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এই বিভাগ থেকে ৩২ হাজার ২০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩১ হাজার ৩৭৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৫৩৭ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে ছেলেরা। সর্বোচ্চ এ ফল অজর্নকারীদের মধ্যে ৪ হাজার ৭৮৮ জন ছাত্র ও ৩ হাজার ৭৪৯ জন ছাত্রী। এই বিভাগে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৯৯ ভাগ। গত বছর এই বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৫৮৫ জন। আর পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ৯৭ ভাগ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৩৯ হাজার ৭৮০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৭ হাজার ৭৬৯ জন। পাসের হার ৯৪ দশমিক ৯৪ ভাগ। গত বছর এ হার ছিল ৮৮ দশমিক ৫৭ ভাগ। এই বিভাগ থেকে এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০৮ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৪৬০ জন।  এছাড়া মানবিক বিভাগ থেকে ৭৬ হাজার ২৬৮ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৬৬ হাজার ৮৫৪ জন। পাসের হার ৮৭ দশমিক ৬৬ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯৯ জন। এই বিভাগে ১৫০ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেলেও ছাত্রদের মধ্যে পেয়েছে ৪৯ জন। গত বছর এই বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৫৩ জন। আর পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ২২ ভাগ।যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানিয়েছেন, গত বছরের ফল বিপর্যয়ের পর এবার বোর্ডের ফলাফল ভাল হয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, গত বছরের বিপর্যয় নিয়ে তারা বিশ্লেষণ ও করণীয় নির্ধারণ করেন। এরপর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী মাঠে নামেন। বিভিন্ন স্কুল তাৎক্ষণিক পরিদর্শনসহ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এছাড়া গত বছর ফল খারাপ হওয়ায় অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের এবার বাড়তি যত্ন নিয়েছেন। সব কিছু মিলিয়ে এবার যশোর বোর্ডের ফলাফল সন্তোষজনক হয়েছে। মিলন রহমান/এসএস/এমএস

Advertisement