আন্তর্জাতিক

পশ্চিমা দেশগুলোতে হামলার ইঙ্গিত পুতিনের

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধটি এখন ‘বৈশ্বিক’ যুদ্ধে রূপ নিচ্ছে। এ অবস্থায় পশ্চিমা দেশগুলোতে হামলা করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ইউক্রেনে নতুন প্রজন্মের একটি মধ্যম-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পরীক্ষামূলক হামলার পর এই মন্তব্য করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন পুতিন। এটি পরীক্ষার পর পশ্চিমা দেশগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, পশ্চিমারা যদি তাদের সরবরাহ করা অস্ত্র ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানতে ব্যবহার করে, তবে রাশিয়া পাল্টা হামলা চালাবে।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, যেসব দেশ আমাদের স্থাপনাগুলোর ওপর আঘাত হানতে তাদের অস্ত্র ব্যবহার করতে দেয়, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা আমাদের অস্ত্র ব্যবহার করতে পারি।

আরও পড়ুন>>

Advertisement

হামলার ভয়ে কিয়েভ দূতাবাস বন্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলার শঙ্কায় কিয়েভের শেল্টারগুলোতে উপচেপড়া ভিড় ইউক্রেনকে মানববিধ্বংসী মাইন ব্যবহারের অনুমতি দিলেন বাইডেন

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সম্প্রতি রাশিয়ার গভীরে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া না গেলেও বিষয়টিকে ‘গুরুতর উসকানি’ বলে উল্লেখ করেছে ক্রেমলিন।

এমন প্রেক্ষাপটে রাশিয়াকে যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জিন-পিয়েরে বলেছেন, রাশিয়া যেখানেই সুযোগ পাচ্ছে, সেখানেই উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, রাশিয়া অন্য দেশের সহায়তা নিচ্ছে, যার মধ্যে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী রাশিয়াকে ইউক্রেনের আক্রমণ প্রতিহত করতে সহায়তা করছে।

অন্যদিকে, রাশিয়ার দূত আন্দ্রেই কেলিন যুক্তরাজ্যকে ‘যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণকারী’ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ তারা ইউক্রেনকে স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছিল।

Advertisement

রুশ সরকার দাবি করেছে, তারা ইউক্রেনের আরও কিছু গ্রাম দখল করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র: এএফপিকেএএ/