দেশজুড়ে

সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন কন্যাকে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা

সাতক্ষীরায় সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ডিফেন্ডার মাছুরা পারভীন ও ডিফেন্ডার আফঈদা খন্দকার প্রান্তিকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে তাদের এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

Advertisement

এ সময় সাতক্ষীরার এই তিন কৃতি খেলোয়াড়ের হাতে সংবর্ধনা স্মারক ও প্রাইজমানি হিসেবে ১ লাখ টাকা করে তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।

এ সময় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী, ফুটবল কোচ ও আফঈদা খন্দকার প্রান্তির বাবা প্রিন্স খন্দকার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জাতীয় নারী ফুটবল দলের ডিফেন্ডার মাছুরা পারভীন বলেন, আমরা মাঠে বেশি খেলা করি, তাই মাইক্রোফোনে কম কথা বলতে পারি। খেলাই আমার জীবনের সব। খেলাকে ভালোবেসেই আজ এখানে। আপনাদের সমর্থন অনুপ্রেরণা দেয়। আমি চাই পরবর্তী প্রজন্মও অনুপ্রাণিত হোক।

Advertisement

অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, শুধু ফুটবলে নয়, বিভিন্ন খেলায় সাতক্ষীরার ছেলে-মেয়েরা নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমার ১৫ বছরের অভিজ্ঞতায় সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে বড় ধরনের কোনো টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়নি, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। পরবর্তী প্রজন্ম থেকে সাবিনা, মাছুরা-প্রান্তিদের উঠিয়ে আনার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা চাই আমাদের মতো সাতক্ষীরা থেকে আরও ভালো ভালো খেলোয়াড় উঠে আসুক। এজন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাবো, ফুটবলের পাশাপাশি যেন অন্যান্য খেলাকে প্রাধান্য দিয়ে সঠিক পরিচর্যা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সাফল্যের পেছনে পুরো জাতির দোয়া এবং পরিবারের সমর্থন ছিল। সাতক্ষীরার মানুষ সবসময় আমাদের পাশে থেকেছে। আপনাদের এই ভালোবাসা আমাদের আরও বড় স্বপ্ন দেখতে সাহস যোগায়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, এই তিন মেয়ে শুধু সাতক্ষীরার নয়, পুরো বাংলাদেশের গর্ব। তাদের সাফল্য নতুন প্রজন্মকে আরও অনুপ্রাণিত করবে।

এ সময় সাতক্ষীরার খেলোয়াড়দের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধির আশ্বাস দেন তিনি।

Advertisement

সাফ জয়ের পর বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরায় পা রাখেন সাবিনা, মাছুরা ও আফঈদা খন্দকার প্রান্তি।

আহসানুর রহমান রাজীব/এফএ/এএসএম