জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী আফসানা রাচির মৃত্যুর ঘটনায় যথাযথ বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন তার সহপাঠীরা। এ সময় আন্দোলনে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে তোপের মুখে পড়েন বামপন্থি দুই সংগঠক।
Advertisement
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিহত শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের ১১ দফার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গেলে তোপের মুখে পড়েন তারা।
বামপন্থি দুই সংগঠক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া এবং ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সোহাগী সামিহা ও জাহিদুল ইসলাম ইমন নিহত শিক্ষার্থীর সহপাঠী ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রবেশ করতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিষেধ করেন। তারা জোরপূর্বক অংশ নিতে চাইলে বাধা দেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সোহাগী সামিহা বাগবিতণ্ডায় জড়ান। পরবর্তীতে জাহিদুল ইসলাম ইমন তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন এবং দুজনই স্থান ত্যাগ করেন।
Advertisement
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাইমুল হাসান শুভ বলেন, রাচির অটোরিকশার ধাক্কায় নিহতের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আমরা ১১ দফা দাবি পেশ করেছি। কিন্তু আন্দোলনে দুইজন হস্তক্ষেপের চেষ্টা করলে আমরা এটা প্রতিহত করি। কারণ আমরা চাই আমাদের সহপাঠী মৃত্যুর বিচারের আন্দোলন নিয়ে যেন কোনো রাজনৈতিক দল রাজনীতি করতে না পারে। আমরা আমাদের দাবিগুলো ভিসি স্যারের কাছে জমা দিয়েছি, তিনি আমাদের দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আন্দোলনের সময় ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। আমরা চেয়েছিলাম তাদের দাবিগুলোর সঙ্গে আমাদের দাবিগুলো মিলিয়ে যেন প্রশাসনের কাছে পৌঁছানো যায়। কিন্তু তারা আমাদের ভুল বোঝার কারণে পর এরকম বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আমরা শিগগিরই তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে সোহাগী সামিয়াকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
সৈকত ইসলাম/এফএ/এএসএম
Advertisement