সাহিত্য

হেম লক্ষ্মী এবং হেমন্তের নীরবতা

হেম লক্ষ্মী

Advertisement

হেম আসে সোনারোদে সাদা মেঘের পাল তুলে শূন্য গোলা পূর্ণ করে লক্ষ্মী নিয়ে দ্বার খুলে। ঝিকিমিকি শিশির গায়ে মিষ্টি হাসে দূর্বাঘাসস্বচ্ছ জলে মনের সুখে খেলা করে পাতিহাঁস।

ছোট্ট ছোট্ট নৌকা নিয়ে জেলে চলে নদীর বাকেবনের পাখি গান গেয়ে যায় মিষ্টি সুরে গাছের শাখে।লালপদ্ম, শাপলা-শালুক ভাসতে থাকে জলের বুকে,পাকা ধানের মৌ গন্ধে চাষি ঘুমায় মনের সুখে।

ভেজা ভেজা নরম হাওয়ায় শিউলি পড়ে গাছের তলে মাছগুলো সব খেলা করে খালে-বিলে, পুকুর জলে।আপন দানের আড়াল করে লক্ষ্মী আসে বারংবারসব মানুষের স্বপ্ন আশা হৈম চাষির অহংকার।

Advertisement

****

হেমন্তের নীরবতা

হেমন্তের কুয়াশায় ঢেকে গেছেপাকা ধানের সোনারংপ্রীতির বাঁধন ছিড়ে গেছে ঈর্ষায়। কাস্তে ধরেছে মরিচা ঢেঁকির তালে তালে শোনা যায়হৃদয় ভাঙা শব্দকচি লাউয়ের বোঁটায় ধরেছে পচন শুভ্র মেঘের ভেলায় ভীতির সাহারাশিউলির উষিত বেদন ঝরে পড়ে শিশিরে জোছনার পঞ্জরে নেমে আসে কালো আঁধারমাটি খুঁড়ে ফসল ঘরে তোলে ঢেড়ে ইঁদুর উদাস ক্লান্তিতে ঘূর্ণিপাক খায় নিস্বতায়।

এসইউ/এএসএম

Advertisement