ক্যাম্পাসে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় নবীন শিক্ষার্থী আফসানা রাচির মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে ৮ দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের জন্য মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাত প্রায় সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আন্দোলনে উত্তপ্ত ছিল ক্যাম্পাস। পরে দাবি মেনে নেওয়া হলে স্থান ত্যাগ করেন তারা।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাত ১০টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে দাবিগুলো জানান শিক্ষার্থীরা। এর আগে রাত নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে মিছিল বের করেন তারা। পরে তারা সেখান থেকে মিছিলটি নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে উপস্থিত হন।
শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবি হলো- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার করতে হবে, পর্যাপ্ত ল্যাম্পপোস্ট, ফুটপাথ ও স্পিডব্রেকার স্থাপন করতে হবে এবং যানবাহনে স্পিডমিটার বাস্তবায়ন করতে হবে, নিহতের পরিবারকে যথাযথ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, মেডিকেল সেন্টারে জরুরি সেবার মানোন্নয়ন করতে হবে, রেজিস্ট্রেশনবিহীন সকল যানবাহন ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং রেজিস্ট্রেশন প্রদানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে, রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণপূর্বক রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে হবে, এস্টেট পরিচালকসহ অদক্ষ নিরাপত্তাকর্মীদের প্রত্যাহার করতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, উপাচার্য মহোদয়সহ প্রশাসন তোমাদের দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। তোমাদরে দাবির প্রেক্ষেতি এস্টেট অফিসের কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিরাগত ব্যক্তি, হোন্ডা, মোটরসাইকেল, রিকশা এগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে সকল শিক্ষক এবং কর্মকর্তারা রিকশার মালিক আছে তাদের তালিকা প্রকাশ করে মামলা করা হবে।
Advertisement
তিনি আরও জানান, দাবি অনুযায়ী আফসানার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া যে দাবিগুলো রয়েছে সেগুলোর একেকটার একেক রকম সময় লাগবে, তবে বাস্তবায়ন হবে।
সৈকত ইসলাম/এফএ/এএসএম