তিলাওয়াতের সিজদা কোরআনের হক এবং গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ একটি ইবাদত। সিজদার আয়াত তিলাওয়াতের পর নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও সাহাবায়ে কেরাম খুবই গুরুত্বের সাথে সিজদা আদায় করতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন,
Advertisement
كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ السَّجْدَةَ وَنَحْنُ عِنْدَهُ، فَيَسْجُدُ وَنَسْجُدُ مَعَهُ، فَنَزْدَحِمُ حَتّٰى مَا يَجِدُ أَحَدُنَا لِجَبْهَتِهِ مَوْضِعًا يَسْجُدُ عَلَيْهِ.
নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের সামনে সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করতেন তারপর সিজদা করতেন। আমরাও তার সাথে সিজদা করতাম। তখন এতো ভিড় হতো যে, আমাদের মাঝে কেউ কেউ সিজদা করার জন্য কপাল রাখার জায়গা পেত না। (সহিহ বুখারি: ১০৭৬)
সিজদার আয়াত পড়ে সিজদা করার ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন,
Advertisement
إِذَا قَرَأَ ابْنُ آدَمَ السَّجْدَةَ فَسَجَدَ اعْتَزَلَ الشَّيْطَانُ يَبْكِي يَقُولُ يَا وَيْلَهُ أُمِرَ ابْنُ آدَمَ بِالسُّجُودِ فَسَجَدَ فَلَهُ الْجَنَّةُ وَأُمِرْتُ بِالسُّجُودِ فَأَبَيْتُ فَلِيَ النَّارُ
মানুষ যখন সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করে সিজদা দেয়, শয়তান তখন কাঁদতে কাঁদতে দুরে সরে পড়ে এবং বলতে থাকে হায়! দুর্ভাগ্যা! মানুষকে সিজদার নির্দেশ দেওয়া হলো, তারা সিজদা করলো, এর বিনিময়ে তারা জান্নাত লাভ করবে। আমাকে সিজদার নির্দেশ দেওয়া হলে কিন্তু আমি তা অস্বীকার করেছিলাম, ফলে আমি যাবো জাহান্নামে। (সহিহ মুসলিম: ৮১)
সিজদায়ে তিলাওয়াত আদায়ের পদ্ধতি হলো, দাঁড়িয়ে নিয়ত করে হাত উঠানো ছাড়া আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যাওয়া, সিজদায় গিয়ে তিনবার ‘সুবাহানা রাব্বিয়াল আ’লা’ পড়ে পুনরায় আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যাওয়া। এভাবে একটি সিজদা আদায় হবে।
তেলাওয়াতের সিজদায় তাকবিরের সময় হাত ওঠানো, হাত বাঁধা, শেষে বৈঠক, তাশাহহুদ, সালাম ফেরানো ইত্যাদি নেই।
Advertisement
তিলাওয়াতের সিজদা আদায়ের সময় দাঁড়ানো থেকে সিজদায় যাওয়া এবং সিজদা করে আবার দাঁড়িয়ে যাওয়া উভয়টিই মুস্তাহাব। সুতরাং এক বা একাধিক সিজদা আদায় করার ক্ষেত্রে প্রতিটি সিজদার পর দাঁড়িয়ে যাওয়া উত্তম। তবে কেউ যদি না দাঁড়িয়ে বসা থেকে সিজদায় যায় বা সিজদার পর না দাঁড়ায়, তাহলেও সিজদা আদায় হয়ে যাবে।
ওএফএফ/এমএস