ক্যাম্পাস

ডেমোক্রেসির কথা বলে বিদেশের দূতাবাসগুলো চাপ প্রয়োগ করছে

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কথা বললে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অনীহা প্রকাশ করে, যা গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে ডেমোক্রেসির কথা বলে বিদেশের দূতাবাসগুলো চাপ প্রয়োগ করছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

Advertisement

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘নবীন চোখে গণঅভ্যুত্থান ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, আহতদের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ ডা. সায়েদুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ২৪ এর চেতনা পক্ষপাতের নয়, এই চেতনা সকলের। বৈচিত্র্যের নামে বিভাজন করে গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে। বেনজির-মতিউরের জ্ঞানের কমতি ছিল না, ছিল মূল্যবোধের অভাব। তাই মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ তৈরি ২৪ এর চেতনা। গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ও ইতিহাসকে অমর করে রাখতে আর্কাইভ ও ডকুমেন্টারি নির্মাণে এ জাতীয় গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নারী নেতৃত্ব বাড়াতে হবে।

Advertisement

এ সময় শহীদ পরিবার থেকে বক্তব্যে শহীদ ইয়ামিনের বাবা ২৪ এর শহীদদের ‘বিপ্লবী যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানান। শহীদদের কোনো ভাস্কর্য বা ম্যুরাল নির্মাণের পরিবর্তে তাদের নাম-স্মৃতিমূলক ডিজিটাল বোর্ড স্থাপনের দাবি জানান। এছাড়া শহীদ আলিফের বাবা বিতর্কিত উপদেষ্টা নিয়োগে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের পরিবর্তে যোগ্য ও দক্ষ উপদেষ্টা নিয়োগের দাবি জানান।

এদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

উক্ত আয়োজনে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ, উপস্থাপক ও আইনজীবী মানজুর আল মতিন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ফয়সাল মাহমুদ শান্ত।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানা লাকি, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুল এলাহী এবং পরিবেশ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন রুনু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা ও প্রশাসন), প্রক্টর ও শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।

Advertisement

সৈকত ইসলাম/এফএ/জেআইএম