দেশজুড়ে

নভেম্বরেই চালু হতে পারে বেড়াডোমা সেতু

টাঙ্গাইলে চলতি মাসেই চালু হতে পারে বেড়াডোমা সেতু। এমনই আভাস দিয়েছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। এটি চালু হলে এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগব্যবস্থা যেমন সহজ হবে, তেমনি খুলবে ব্যবসায়িক দ্বার।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (টিপিআইআইপি) আওতায় এলজিইডির অর্থায়নে টাঙ্গাইল শহরের বেড়াডোমা এলাকায় লৌহজং নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৪১.৭০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণে ব্রিকস অ্যান্ড ব্রিজেস লিমিটেড অ্যান্ড দ্য নির্মিতি (জেভি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর চুক্তি হয়। তিন কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার ৮৪১ টাকা ব্যয়ে সেতুর কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর।

বর্ধিত সময় অনুযায়ী কাজ সমাপ্তির তারিখ ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর। নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর চারটি বিলের মাধ্যমে ঠিকাদারকে দুই কোটি ৮০ লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৬ টাকা পরিশোধ করা হয়। এরইমধ্যে গত ১৬ জুন দেবে যায় নির্মাণাধীন সেতুটি।

বাসাখানপুর গ্রামের গৃহিণী রোজী জাগো নিউজকে বলেন, ‘সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে আমরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছি। দ্রুত উদ্বোধন হলেই আমাদের দুর্ভোগ কাটবে।’

Advertisement

অটোরিকশাচালক মোস্তফা বলেন, ‘প্রায় চার বছর ধরে আমরা কষ্ট করছি। সেতুটি চালু হলে আমাদের সেই কষ্ট দূর হবে।’

হেদায়েত আলী নামের আরেকজন জানান, পশ্চিম টাঙ্গাইলবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের ফসল বেড়াডোমা সেতু। সেতুটি দ্রুত চালু হলে পশ্চিমের কাকুয়া, হুগড়া, বাঘিল ও দাইন্যা ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের দুর্ভোগ কাটবে। শহরতলিতে দ্রুত যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি কৃষিপণ্য শহরের বাজারগুলোতে এনে বিক্রির সুযোগ পাবেন কৃষকরা।

সেতুটির কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম খান জামিল জানান, সেতুর কাঠামোগত নির্মাণ শেষ। সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে সেন্টারিং খোলাসহ ঘষামাজা আর সাজসজ্জার কাজও শেষ হবে। আশা করছি চলতি মাসেই সেতুতে চলাচল শুরু করা যাবে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, সেতুর সাটার খোলা, ওয়্যারিংসহ কিছু সাজসজ্জার কাজ বাকি রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি নভেম্বর মাসেই সেতুটি চালু করতে। সম্ভব না হলে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চালু করা হবে।

Advertisement

আরিফ উর রহমান টগর/এসআর/এমএস