দেশের ৪৯ জেলার ৫৬টি উপজেলায় মাটি পরীক্ষা করা হবে ভ্রাম্যমাণ গবেষণাগারের মাধ্যমে। কৃষকেরা মাত্র ২৫ টাকা ভর্তুকি মূল্যে (প্রকৃত খরচ ৪৪০ টাকা) ফসলি জমির মাটি পরীক্ষা করতে পারবেন। সারাদেশে ১৭ নভেম্বর থেকে সরাসরি মাটি পরীক্ষা করে সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ করা হবে।
Advertisement
কৃষকের দোরগোড়ায় মৃত্তিকার সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ মাটি পরীক্ষা গবেষণাগার (এমএসটিএল) কর্মসূচির মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের এই মাটি পরীক্ষাপূর্বক সুষম সার সুপারিশ কার্ড প্রদান শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) সারাদেশে ১০টি ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (এমএসটিএল) রবি-২৪ এর এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
রাজধানীর খামারবাড়িতে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম। উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক বেগম সামিয়া সুলতানা।
অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক সামিয়া সুলতানা বলেন, জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এবং মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগে কৃষক ভাইদের উদ্বুদ্ধ করতে ১৯৯৬ সাল থেকে ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার চালু রয়েছে। এখন রবি ও খরিফ মৌসুমে (২ বার) মাটি পরীক্ষা করা হবে। বরাবরের মতো এবারও আমরা রবি-২৪ মৌসুমে ১০ টি ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলার ৫৬টি উপজেলায় একযোগে কার্যক্রম শুরু করেছি।
Advertisement
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছাইফুল আলম বলেন, এ রকম মোটিভেশানাল প্রোগ্রাম কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করবে এবং মাটি পরীক্ষা করে সার সুপারিশ করলে সারের অপচয় রোধ হয়। প্রতিবছর টনের পর টন সার আমদানি করতে হয়, কৃষকের সঠিক ধারণা না থাকায় ইচ্ছেমতো সার প্রয়োগ করে যা অনেকাংশেই কাজে লাগে না।
জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ এসব গবেষণাগার প্রতিটি স্টেশনে সাধারণত ৩-৫ দিন অবস্থান করবে এবং মাটি পরীক্ষা ও ফসলের সুষম মাত্রার সার সুপারিশ কার্ড প্রদান করবে। মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার প্রয়োগ করলে ফলন ১৫-২০% বৃদ্ধি পায়, উৎপাদন খরচও ১০-১৫% কম লাগে, সারের অতিরিক্ত ব্যবহার হ্রাস পায়, সর্বোপরি পরিবেশ দূষণ (মাটি, পানি দূষণ) থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, জয়নাল আবেদিন, ড. নুরুল হুদা আল মামুন, ফারুক হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এনএইচ/এমআইএইচএস/এমএস
Advertisement