শিক্ষা

তৃতীয় শ্রেণির ‘গ্লানি থেকে মুক্তি’ চান প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা

দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ‘সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ’। একই সঙ্গে প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত কনসালটেশন কমিটির কাছে সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড দেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়েছে।

Advertisement

শনিবার (১৬ নভেম্বর) এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। সারাদেশ থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক সহকারী শিক্ষক এতে অংশ নেন।

সহকারী শিক্ষকরা বলেন, ২০১৫ সালের বেতন স্কেলে শিক্ষকদের স্বাভাবিক জীবনমান বজায় রাখতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করার মাধ্যমে এর কিছুটা সমাধান সম্ভব।

তারা আরও বলেন, সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা বর্তমানে ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। অন্যদিকে পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় দশম গ্রেডে আছেন। পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা একই শিক্ষাক্রমে পাঠদান ও একই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন কার্যক্রম করেও আমাদের চেয়ে বেতনে এগিয়ে।

Advertisement

‘আবার এইচএসসি ও ডিপ্লোমা যোগ্যতায় নার্স দশম গ্রেড, এসএসসি ও চার বছরের ডিপ্লোমা যোগ্যতায় উপসহকারী কৃষি অফিসার দশম গ্রেড, পুলিশের এসআই স্নাতক যোগ্যতায় দশম গ্রেড, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় দশম গ্রেড পেলেও আমরা বৈষম্যের শিকার।’

সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা একই যোগ্যতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও তৃতীয় শ্রেণির গ্রেডে বেতন পাচ্ছি। অথচ সমান যোগ্যতায় অনেকেই দশম গ্রেডে বেতন পাচ্ছে। এটা স্পষ্টত বৈষম্য।

তিনি আরও বলেন, মেধাবীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদে যোগদানের কিছু দিন পরে স্বল্প বেতনে সংসার চালানো সম্ভব নয় বলে চাকরি ছেড়ে দেন। দশম গ্রেড পেলে তারা এভাবে চলে যেতেন না। তাদের তৃতীয় শ্রেণিতে রেখে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা সম্ভব নয়। আমরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিজের অধিকার আদায়ে মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছি। আমরা তৃতীয় শ্রেণির গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে চাই।

এএএইচ/এমকেআর

Advertisement