আইপিএল ২০২৫ আসরের নিলামের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন ১ হাজার ৫৮৪ ক্রিকেটার। যাচাই-বাছাইয়ের টিকেছেন ৫৭৪ জন। বাকিরা ছাঁটাই হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার টিকে যাওয়া ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
বাংলাদেশ থেকে নিবন্ধন করেছিলেন ১৩ ক্রিকেটার। তবে চূড়ান্ত নিলামের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন একজন। নিবন্ধন করা ১৩ জনের নাম প্রকাশ না করায় জানা যায়নি কে আসলে বাদ পড়েছেন। তবে যারা টিকেছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
আইপিএলের মেগা নিলাম এবার হবে সৌদি আরবের জেদ্দায়। ২৪ ও ২৫ নভেম্বর হবে ক্রিকেটার বিকিকিনির সবচেয়ে বড় এ আয়োজন। এই দুই দিনের মধ্যেই ৫৭৪ ক্রিকেটারের নাম উঠবে নিলামে।
আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশি ৩ ক্রিকেটার- সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও লিটন দাসের। আগামী আসরের চূড়ান্ত নিলামে তিনজনের নামই থাকবে।
Advertisement
চূড়ান্ত নিলাম তালিকায় থাকা বাকি ৯ জনের অবশ্য অভিজ্ঞতা নেই। তবে আইপিএলের মতো জমজমাট টুর্নামেন্টে খেলার জন্য মুখিয়ে আছেন তারা। এ তালিকায় থাকা ক্রিকেটাররা হলেন- রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানজিম হাসান, মেহেদী হাসান, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশিদের মধ্যে আইপিএলে খেলায় সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ হলেন সাকিব। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টে দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে মোট ৯ মৌসুম খেলেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে খেলেছেন ৭ মৌসুম। ২০১২ ও ২০১৪ সালে কলকাতাকে চ্যাম্পিয়ন করায় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। সাকিব বাকি দুই মৌসুম খেলেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে।
অন্যদিকে পেসার মোস্তাফিজের আইপিএলে অভিষেক ২০১৬ সালে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ৭ মৌসুম খেলেছেন এই বাঁহাতি। প্রথম দুই আসর খেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেন তিনি।
২০২২ ও ২০২৩ মৌসুমে মোস্তাফিজ ছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসে। সর্বশেষ ২০২৪ আসরে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসে।
Advertisement
এছাড়া ২০২৩ সালে লিটনকে দলে ভিড়িয়েছিল কলকাতা। শাহরুখ খানের দলে মাত্র এক ম্যাচ খেলার সুযোগ পান ডানহাতি এই ব্যাটার। এখন পর্যন্ত আইপিএলে এইটুকুই অভিজ্ঞতা লিটনের।
এমএইচ/এএসএম