অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পরই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নির্দেশে ৪৮টি ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতি এবং বেশ কয়েকটি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিলো। যাদের অধিকাংশই ছিল গত সরকারের রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত।
Advertisement
এবার এক প্রাজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ৯টি ফেডারেশনের বিদ্যমান কমিটি ভেঙে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। একই সঙ্গে এই ৯টি ফেডারেশনেই গঠন করা হয়েছে অ্যাডহক কমিটি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮ এর ধারা:২১ মোতাবেক অর্পিত ক্ষমতাবলে বিদ্যমান নির্বাহী কমিটি ভেঙে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়।
যে ৯টি ফেডারেশনের বিদ্যমান কমিটি বাতিল করা হয়েছে, সেগুলো হেলো- বাংলাদেশ ব্রিজ ফেডারেশন, বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন, বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশন, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ বিলিয়ার্ড ও স্নুকার ফেডারেশন ফেডারেশন, বাংলাদেশ বাস্কেটবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন, বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন।
অ্যাডহক কমিটিগুরোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হকি ফেডারেশন, কাবাডি ফেডারেশন, অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন ও টেনিস ফেডরেশন। এ ফেডারেশনগুলোর অ্যাডহক কমিটিতে হকির সভাপতি হলেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাবেক হকি খেলোয়াড় লে. কর্নেল রিয়াজুল হাসান (অব.)।
Advertisement
দাবা ফেডারেশনের সভাপতি করা হয়েছে সাবেক খেলোয়াড় সৈয়দ সুজা উদ্দিন আহমেদকে। সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ফিদে মাস্টার, যুগ্ন সচিব ড. তৈয়বুর রহমান সুমনকে।
অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সভাপতি করা হয়েছে সাবেক অ্যাথলেট, প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মেজর জেনারেল ড. নাঈম আশফাক চৌধুরীকে। সাবেক অ্যাথলেট, কোচ এবং বিজেএমসির সাবেক ডিজিএম মোহাম্মদ শাহ আলমকে।
কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি করা হয়েছে পুলিশের আইজি মোহাম্মদ ময়নুল ইসলামকে। সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ব্যবসায়ী, পৃষ্ঠপোষক ও সংগঠক এসএম নেওয়াজ সোহাগকে।
টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি করা হয়েছে ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সাবেক খেলোয়াড় আব্দুল হাই সরকারকে। সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সাবেক খেলোয়াড় ও সেল্টার আর্কিটেক্ট ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিচালক ইশতিয়াক আহমেদকে।
Advertisement
আইএইচএস/