কুষ্টিয়ার কুমারখালী রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবিতে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করেছে জনতা। প্রায় ২২ মিনিট ট্রেন থামিয়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে কুমারখালী রেলস্টেশনে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে কর্মসূচি পালন করেন তারা। এরআগে সকাল ১০টা থেকে স্টেশন চত্বরে রাজনৈতিক ব্যক্তি, ছাত্র, জনতা, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণির মানুষ জড়ো হতে থাকেন।
এসময় বিক্ষোভকারীরা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রা বিরতির দাবিতে আল্টিমেটাম দেন। পরে কুমারখালী স্টেশন মাস্টার এসে আশ্বস্ত করলে বিক্ষোভ বন্ধ করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়দেব বিশ্বাস, সাংবাদিক কে এম আর শাহিন, নুরুল টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া আনছার মিলন প্রমুখ।
Advertisement
বক্তারা জানান, কুমারখালী শিল্প প্রসিদ্ধ এবং পর্যটন এলাকা। এখানকার তাঁত ও বস্ত্র শিল্প জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ। এখানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি, বাউল সম্রাট লালন শাহের জন্ম ও আখড়াবাড়ী, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের বাসতভিটা ও মিউজিয়াম, গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের বাড়ি ও মিউজিয়াম, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বীরসেনা বাঘা যতীনের জন্মভিটাসহ আরও অনেক প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক, গবেষক, লেখক, শিল্পী, রাজনীতিবিদদের বাড়ি।
বক্তারা আরও বলেন, এখানে ব্যবসায়িক কারণে ও পর্যটক হিসেবে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মানুষ আসা-যাওয়া করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় যাতায়াতের কোনো সুব্যবস্থা নাই। অনেক মানুষ যাতায়াতের জন্য দুর্ভোগের স্বীকার হয়। সে কারণে খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৭২৫ -৭২৬ এবং বেনাপোল এক্সপ্রেস ৭৯৫ -৭৯৬, ট্রেন ২টি কুমারখালী স্টেশনে যাত্রা বিরতি হওয়া আবশ্যক।
বিক্ষোভ শেষে ট্রেন কর্তৃপক্ষের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রা বিরতি চালু না হলে কঠোর আন্দোলন হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। তিনি বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
Advertisement
আল-মামুন সাগর/জেডএইচ/জেআইএম