চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সুইজারল্যান্ড থেকে ৫০ হাজার টন গম কিনবে অন্তর্বর্তী সরকার। এই গম আমদানি করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৫ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এই অর্থ ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে।
Advertisement
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এই গম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-২ এর আওতায় ৫০ হাজার টন গম কেনার অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৫ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি টন গমের দাম পড়বে ২৯২ দশমিক ১৪ মার্কিন ডলার। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক মেসার্স অ্যাস্টন অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রিয়াল এসএ থেকে এই গম কেনা হবে।
জানা গেছে, ৫০ হাজার টন গম আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপত্র জমা পড়ে। চার প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক মেসার্স অ্যাস্টন অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রিয়াল এসএ গম সরবরাহ করবে।
Advertisement
প্রতি টন গমের দাম ২৯২ দশমিক ১৪ মার্কিন ডলার হিসাবে এতে মোট ব্যয় হবে এক কোটি ৪৬ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৭৫ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি গমের মূল্য ৩৫ টাকা ৬ পয়সা।
গত ৩১ অক্টোবরের তথ্য অনুযায়ী, গমের মজুত আছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার টন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৮ লাখ ৯০ হাজার টন গম প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৭ লাখ টন গম আমদানির বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের এগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে প্যাকেজ-১ এর আওতায় ৫০ হাজার টন গম কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৮০ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি টন গমের দাম ধরা হয় ৩০১ দশমিক ৩৮ মার্কিন ডলার।
এমএএস/কেএসআর/জিকেএস
Advertisement