দেশজুড়ে

চুয়াডাঙ্গায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারপিট করে হত্যার অভিযোগ

ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার পর তার মুখে বিষ দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নিহতের স্বামীর বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, মারপিট করে হত্যার পর তার মুখে বিষ দেওয়া হয়।

Advertisement

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ঘটে এ ঘটনা। অভিযুক্ত স্বামী রবিউল ইসলাম ও তার বাবা-মা পলাতক।

নিহত পলি খাতুন (২৪) উপজেলার হারদি ইউনিয়নের গোপালদিয়াড় গ্রামের ফরিদ আলীর মেয়ে। আর রবিউল ইসলাম পশ্চিমপাড়ার গিয়াস উদ্দীনের ছেলে।

এলাকাবাসীরা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে মঙ্গলবার রাতে কোনো এক সময় পলি খাতুনকে ঘরে আটকে মারপিট করে হত্যা করেন রবিউল ইসলাম। এ ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে স্ত্রীর মরদেহ ঘরের মেঝেতে রেখে মুখে বিষ দিয়ে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিতে রবিউল চিৎকার করতে থাকেন।

Advertisement

পরে রবিউল তার শ্বশুরবাড়িতেও পলি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান। এরপর পলির বাবার বাড়ির লোকজন এলে তোপের মুখে মরদেহ ফেলে রবিউল ইসলাম ও তার বাবা গিয়াস উদ্দীন এবং মা পারুলা খাতুন পালিয়ে যান।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পলি খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পলি খাতুনের বাবা ফরিদ আলী বাদী হয়ে রবিউলের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন।

নিহত পলির বাবা গিয়াস উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, রবিউল এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া করেন। এর প্রতিবাদ করায় মেয়ের ওপর নির্যাতন করতেন তিনি। মঙ্গলবার আমার মেয়েকে মারপিট করেন।

তিনি আরও বলেন, পলি হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে তার মুখে বিষ দেওয়া হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে আট মাসের মেয়ে ও দুই বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। পলি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

Advertisement

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে মরদেহ। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে এটি হত্যা না কি আত্মহত্যা তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।

হুসাইন মালিক/জেডএইচ/জিকেএস