নামাজের ইকামত শুরু হলে মুসল্লিদের করণীয় হলো দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করতে থাকা যেন ইকামত শেষ হতে হতে জামাতের কাতার সোজা হয়ে যায় এবং ইকামত শেষ হলে ইমাম নামাজ শুরু করতে পারেন।
Advertisement
আমাদের দেশের অনেক অঞ্চলে একামত শুরু হলেও মুসল্লিরা বসে থাকেন। যখন হাইয়া আলাস-সালাহ বা কাদ কামাতিস-সালাহ বলা হয়, তখন উঠে কাতার সোজা করেন। এ প্রচলন সুন্নত বিরোধী ও নতুন আবিস্কৃত। নবিজি (সা.) থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে এর বিপরীত আমল বর্ণিত রয়েছে।
সহিহ মুসলিমে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, বেলাল (রা.) আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আসতে দেখে ইকামত শুরু করতেন। মুক্তাদিরা কাতার সোজা করা শুরু করতেন। এভাবে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজের জায়গায় পৌঁছার আগেই কাতার পুরোপুরি সোজা হয়ে যেত। (সহিহ মুসলিম: ১/২২০)
অন্য একটি হাদিসে এসেছে, মুআজ্জিন ‘আল্লাহু আকবার’ ‘আল্লাহু আকবার’ বলে ইকামত শুরু করামাত্রই লোকেরা নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে যেত এবং আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজের জায়গায় পৌঁছতে পৌঁছতে কাতার সোজা হয়ে যেত। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ১/৫০৭)
Advertisement
এ সব হাদিস থেকে স্পষ্ট যে ইকামত শুরু হওয়ার সাথে সাথে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করাই সুন্নত বা আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তার সাহাবিদের পদ্ধতি।
ইমামও ইকামতের শুরু থেকে নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবেন বা ইকামত শুরু হলে নিজের জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে যাবেন। ইকামতে মুয়াজ্জিন ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ বা ‘কাদ কামাতিস সালাহ’ বলার পর ইমামের দাঁড়ানোর যে প্রচলন আছে, তাও শরীয়তসম্মত নয়।
ওপরে উল্লিখিত হাদিস থেকে এ কথা সুস্পষ্ট যে, আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মসজিদে আসতে দেখলেই ইকামত শুরু হয়ে যেত এবং সাহাবায়ে কেরাম শুরুতেই দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করতেন আর আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সোজা ইমামের জায়গায় পৌঁছে যেতেন। তিনি বসে থেকে ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ বলার জন্য অপেক্ষা করেছেন এ রকম কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না।
ওএফএফ/জিকেএস
Advertisement