শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন জামালপুরের কৃষকেরা। চলতি বছরের অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা এখন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শীতকালীন সবজি চাষে ঝুঁকছেন। এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে তাদের উৎপাদিত সবজি নামবে বাজারে। বাজারদর ভালো থাকলে বেশি লাভবান হওয়ার আশা করছেন সাধারণ কৃষকেরা।
Advertisement
সদর উপজেলার শরিফপুর, লক্ষ্মীরচর, তুলশিচরসহ বেশ কিছু ইউনিয়নের চরাঞ্চলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কৃষকেরা। যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র পারের এ জেলার ভূমিবিন্যাস উর্বর হাওয়ায় বিশেষ করে জেলার চরাঞ্চল ও সমতল উপজেলায় প্রচুর শীতকালীন শাক-সবজি চাষ হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যায়। প্রতি বছর জেলায় উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা পূরণ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা পূরণ করে থাকে।
আরও পড়ুন
Advertisement
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চাষ করা সবজির মধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, মুলা, টমেটো, শিম, লাউ, পালংশাক, লালশাক, ধনেপাতাসহ বাহারি রকম শাক-সবজি আছে।
শরীফপুর ইউনিয়নের কৃষক ফজলু আহমেদ বলেন, ‘শীতকালীন সব ধরনের সবজি আমরা এখন রোপণ করতেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সবজির ফলন ভালো হবে।’
লক্ষ্মীরচরের কৃষক মো. অনিক বলেন, ‘শীতকালীন সবজি চাষে এখন আমরা ব্যস্ত। তবে কীটনাশক, সার ও বীজের দাম বেশি। তাই সবজি ঘরে তোলার পর বাজারদর ভালো থাকলে আমরা লাভবান হবো।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘এ বছর জেলায় ১৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এ হিসাব আরও বাড়বে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ভালো ফলনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
Advertisement
এসইউ/এমএস