ফ্যাসিবাদবিরোধী বাংলাদেশই নাহিদ, আমরাই নাহিদ। বুধবার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ফেসবুক আইডিতে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের দুইটি ছবি শেয়ার করে লেখেন একথা।
Advertisement
ছবি দুইটি সরকার পতনের আন্দোলন চলাকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নাহিদকে তুলে নেওয়ার পর নির্যাতনের। হাসনাত আব্দুল্লাহ হ্যাশট্যাগ দিয়ে জুলাই বিপ্লবে নাহিদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন।
ছবির ক্যাপশনে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের অবস্থা এমনই। যারা হাসিনা পুনর্বাসন প্রকল্পকে সমর্থন করে তারা দেশকে সেই একই পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে আনবে, রক্তপাত, জোরপূর্বক গুম, হত্যা এবং আরও অনেক কিছু। হাসিনা শাসনের পুনর্বাসনকে সমর্থন করলে শেষ পর্যন্ত একই বিধ্বংসী পরিণতি ঘটবে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে ‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগ, আসলে কী ঘটেছিল? নাহিদ আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই রাজপথে নেমেছিলসম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) মহাপরিচালক পদের নিয়োগপত্রে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সুপারিশসহ সই করা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নাহিদ ইসলাম এ বিষয়টিকে অসত্য এবং বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।
Advertisement
মঙ্গলবার রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ১৫ অক্টোবরের নিয়োগ ২২ অক্টোবরই বাতিল করা হয়েছিল। সুপারিশকৃত গোপন নথির ছবি যারা পেয়ে যায় তাদের কাছে বাতিলকৃত প্রকাশ্য নোটিশটি অজানা থাকার কথা না। তারপরও যেকোনো মূল্যে অসত্য প্রচার করে বিতর্কিত করাটা এই সময়ের রাজনীতি।
তিনি আরও লিখেছেন, মূলত আওয়ামী বিরোধী ও আন্দোলনের পক্ষের একটি গ্রুপ এই ব্যক্তির সুপারিশ করেছিল। পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা উনার একাডেমিক এক্সেলেন্সি দেখে এনআইবি পদে নিয়োগ দেন। কিন্তু ঐ ব্যক্তির রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড জানার পরে সঙ্গে সঙ্গেই উনার নিয়োগ বাতিল করা হয়। গত মাসের ঘটনা। বাতিল করার ঘোষণাটিও সকলে অবগত আছেন।
গত কয়েকদিনে নাহিদ ইসলামকে নিয়ে কয়েকটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মূলত এই কারণেই ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক মাধ্যমে ‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছেন তার অনুসারী, ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীরা।
এনএস/এসএনআর/এএসএম
Advertisement