দেশজুড়ে

ভোটে কে কোথায় পাস করবে ঠিক করতো শহীদ পরিবার!

স্থানীয় নির্বাচনে কোন প্রার্থী কোথায় পাস করবে তা ঠিক করে দিতেন উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ ও তার ভাইয়েরা। যে জায়গায় দল মুখ্য ছিল না, শহীদ পরিবারকে অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করতে পারাটাই ছিল বড় ফ্যাক্টর। উপজেলা, ইউনিয়ন কিংবা পৌরসভার জনপ্রতিনিধি কে হবে সে জন্য প্রয়োজন হতো শহীদের গ্রিন সিগন্যাল।

Advertisement

১৯৪৮ সালের ১ জানুয়ারি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্বেশ্বরপুর গ্রামের আব্দুল বারী ও সাজেদা খানম দম্পতির ঘরে জন্ম আব্দুস শহীদের। আট ভাই ও তিন বোনের মধ্যে আব্দুস শহীদ ছিলেন তৃতীয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে ১৯৭৩ সালে কমলগঞ্জ গণমহাবিদ্যালয়ে যোগদান করে শুরু করেন শিক্ষকতা। ১৯৯১ সালে প্রথম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদে হুইপ, ২০০৬ সাল পর্যন্ত সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও সর্বশেষ প্যানেল স্পিকার এবং ২০২৪ সালে ৭ মাসের কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়াও এক দশকেরও বেশি সময় ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার দীর্ঘস্থায়ী ও শক্তিশালী করতে তিন ভাই ও বড় মেয়েকে দলীয় পদ-পদবি দিয়ে নিয়ে আসেন জনসম্মুখে। প্রভাব খাটিয়ে তার ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমদ বুলবুলকে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইফতেখার আহমদ বদরুলকে রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মোসাদ্দেক আহমদ মানিককে বানান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। বড় মেয়ে উম্মে ফারজানা ডায়নাকে পদ দেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের। উদ্দেশ্যে ছিল আগামীতে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী করার। এজন্য রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও সামাজিক অনুষ্ঠানে নিজের সঙ্গেই রাখতেন মেয়েকে। এ নিয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দেয়। বলা চলে সংসদ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ, শহীদ পরিবারের ছিল একক আধিপত্য।

আরও পড়ুন

Advertisement

সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ গ্রেফতার সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ গ্রেফতারে শ্রীমঙ্গলে আনন্দ মিছিল

বিগত কয়েকবছর ধরে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে নিজ ভাই ইমতিয়াজ আহমদ বুলবুল, শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা মহসীন মিয়া মধু, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদকে জোরপূর্বক পাস করানোর অভিযোগ উঠেছে আব্দুস শহীদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় তার নির্বাচনী আসনের প্রতিটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকেও প্রভাব খাটিয়ে ভোটে পাস করানোর অভিযোগের শেষ নেই। বিগত সময় আব্দুস শহীদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালে জেলাজুড়ে দলীয় অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং দ্বন্দ্ব ছিল চরমে। প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসীন আলীর সঙ্গে তার দলীয় দ্বন্দ্ব ছিল প্রকাশ্যে। সে সময় দলের একটি বড় অংশকে কোণঠাসা করে রাখেন শহীদ। এজন্য রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও দলীয় কোন্দল সৃষ্টির মূল কারিগর হিসেবেই নিজ জেলার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে তার পরিচিতি। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের মামলা-হামলায় দমন নিপীড়নে তার ভূমিকা সবসময়ই ছিল সক্রিয়।

ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমদ বুলবুলকে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইফতেখার আহমদ বদরুলকে রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মোসাদ্দেক আহমদ মানিককে বানান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। বড় মেয়ে উম্মে ফারজানা ডায়নাকে পদ দেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের। উদ্দেশ্যে ছিল আগামীতে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী করার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, শুধু জেলা শহরেই নয়, আব্দুস শহীদ কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছেন। তিনি সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমানের অনুসারীদের কোণঠাসা করে রেখেছিলেন। এমনকি রফিকুর রহমানের বিপক্ষে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও মন্ত্রিত্বের প্রভাব খাটিয়ে নিজের ছোট ভাই বুলবুলকে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। শহীদের ক্ষমতার দাপটে তার বিরুদ্ধে কোনো নেতাকর্মী কথা বলার সাহস পেত না।

গ্রেফতারের পর সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ-সংগৃহীত ছবি

Advertisement

বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী বলেন, আব্দুস শহীদ দীর্ঘ মেয়াদে এমপি ও সাত মাস মন্ত্রী থাকার পরও নিজ নির্বাচনী এলাকায় নেই কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ। শহীদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ইশারা ছাড়া দুই উপজেলায় বাস্তবায়িত হতো না সরকারি কোনো প্রকল্প। ক্ষমতার দাপটে অবৈধপন্থায় নীরবে সরব ছিল তার টাকা উপার্জনের নানা ফন্দি ফিকির। অবৈধ টাকায় দেশ ও বিদেশে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।

আরও পড়ুন

হত্যা মামলায় কারাগারে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদের বাসা থেকে যা পেলো পুলিশ

অভিযোগ রয়েছে- জলমহাল, সরকারি, বেসরকারি নানা প্রকল্প, বালু মহাল, এমনকি শ্রীমঙ্গলের ভুনবির, মির্জাপুরসহ অন্যান্য ইউনিয়নের অবৈধ বালু উত্তোলন থেকে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মূল্যবান সেগুন গাছ বিক্রি এবং বৈধ ও অবৈধ ছোট-বড় সব কাজ ও আয় রোজগারের একটি বড় অংশের টাকার ভাগ যেতো আব্দুস শহীদ ও তার ভাইদের কাছে। এর ব্যত্যয় হলেই করা হতো নানা হয়রানি। এভাবেই তিনি হাতিয়ে নিতেন কোটি কোটি টাকা। এছাড়া লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাশে ‘সাবারী টি প্ল্যান্টেশন’ নামে চা-বাগান গড়ে তুলে উদ্যানের ৭-৮ একর পাহাড়ি জমি দখলে নেন। সরকারি খরচে ওই বাগানে বিদ্যুৎ সংযোগসহ স্থাপন করেন বেশ কয়েকটি ডিপ টিউবওয়েল। কাঁঠালকান্দিতে ১০-১৫ একর পাহাড়ি এলাকায় গড়ে তোলেন বাগান বাড়ি ‘সাবারী ফার্মহাউজ’। সেখানে সরকারি খরচে ডিপটিউবওয়েল ও সৌর প্ল্যান্ট নির্মাণ করেন। শুধু তাই নয়, শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরে বাইক্কা বিলের পাশে প্রায় ১৫-২০ একর জমির বিশাল মৎস্য খামার গড়ে তোলেন তিনি।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের দুজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক বছর ধরে ক্ষমতাবান সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ অবৈধভাবে লাউয়াছড়া বনের জমি দখলে রেখেছেন। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সবখানেই তার একচ্ছত্র প্রভাব বিদ্যমান ছিল। সে কারণে ২০১৮ সাল থেকে বন বিভাগ একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও বনের জমি উদ্ধার করতে পারেননি। ২০১৮ সালে প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিমাপ শুরুর পর বন বিভাগ এ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়।

সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রীর দখলে কী পরিমাণ জমি রয়েছে, তা ডিমারকেশনের (সীমানা চিহ্নিতকরণ) পর নিশ্চিত হতে পারবো। তবে আমরা আমাদের লাউয়াছড়া স্টুডেন্ট ডরমেটরির পাশে অবস্থিত প্রায় ৬ একর জমি সাবেক কৃষিমন্ত্রীর দখল থেকে উদ্ধার করেছি। সেখানে বন্যপ্রাণীর খাদ্যোপযোগী নানা জাতের গাছের চারা রোপণ করেছি।

আরও পড়ুন

প্রকল্পের দুর্নীতি প্রতিরোধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে উত্তরায় অতিরিক্ত সচিবের বাসায় মিললো কোটি টাকা, ১১টি আইফোন

কমলগঞ্জের মাঝেরছড়ায় কয়েকশ’ বিঘা টিলায় লেবু বাগান, রাজধানীর উত্তরা ১০নং সেক্টরে বাসা, ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের জগদীশপুর পেট্রোল পাম্প, ঢাকার ফার্মগেইট এলাকায় ঘরসহ জমি ও দোকান, শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের দিলবরনগরে প্রায় ১০ একর জমিতে লেবু বাগান, শ্রীমঙ্গল শহরের কলেজ রোডে পাঁচতলা ভবন, মৌলভীবাজার সড়কে হাউজিং এস্টেটে বাসার জায়গা, কমলগঞ্জ উপজেলা সদরে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন বাসা নির্মাণ করে অবৈধ গ্যাস সংযোগসহ গ্রামের বাড়িতে সরকারি খরচে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে সোলার লাইট স্থাপন ও পুকুর খনন করেন আব্দুস শহীদ। ২০১২ সালে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি তার চাহিদানুযায়ী বিধি লঙ্ঘন করে গ্রামের বাড়িতে প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে গ্যাস লাইন স্থাপন করে দেয়। এছাড়া লোকমুখে প্রচলিত আছে তার নামে-বেনামে কানাডা, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে।

জলমহাল, সরকারি, বেসরকারি নানা প্রকল্প, বালুমহাল, এমনকি শ্রীমঙ্গলের ভুনবির, মির্জাপুরসহ অন্যান্য ইউনিয়নের অবৈধ বালু উত্তোলন থেকে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মূল্যবান সেগুন গাছ বিক্রি এবং বৈধ ও অবৈধ ছোট-বড় সব কাজ ও আয় রোজগারের একটি বড় অংশের টাকার ভাগ যেতো আব্দুস শহীদ ও তার ভাইদের কাছে। এর ব্যত্যয় হলেই করা হতো নানা হয়রানি। এভাবেই তিনি হাতিয়ে নিতেন কোটি কোটি টাকা। এছাড়া লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাশে ‘সাবারী টি প্ল্যান্টেশন’ নামে চা-বাগান গড়ে তুলে উদ্যানের ৭-৮ একর পাহাড়ি জমি দখলে নেন।

জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির শ্রীমঙ্গল আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক গৌতম কুমার দেব বলেন, চলতি বছরের জুলাইয়ে আমি এখানে দায়িত্ব নিয়েছি। তবে আমার জানামতে সাবেক কৃষিমন্ত্রীর বাড়িতে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়নি। চাহিদানুযায়ী বিধি লঙ্ঘন করে প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে গ্যাস লাইন স্থাপনের বিষয়টি জানা নেই।

আব্দুস শহীদ গ্রেফতারে শ্রীমঙ্গলে আনন্দ মিছিল-ছবি জাগো নিউজ

মৌলভীবাজার-৪ আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ ও তার দোসররা মিলে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৭৬টি মামলা করিয়েছে। অনেক মামলায় আমার কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলের নেতাকর্মীদের আসামি করেছে। পুলিশ দিয়ে আমাকে ও আমার নেতাকর্মীদের নির্যাতন করিয়েছে। নির্বাচনী এলাকার জনগণের পাশে, নিজ বাড়িতে, সামাজিক ও রাজনৈতিক কোনো অনুষ্ঠানে, এমনকি ঈদেও আমাকে এলাকায় আসতে দেওয়া হয়নি। পুলিশের হয়রানি, গ্রেফতার আতংক, এসবের মধ্য দিয়েও দলের কার্যক্রম চালাতে হয়েছে।

আরও পড়ুন

বিগত সরকারের আমলে সব প্রকল্প অনুমোদনে রাজনৈতিক প্রভাব ছিল ছাত্রলীগের পদ পেয়েই কোটিপতি হন কাজী বাবলু

সম্প্রতি (২৯ অক্টোবর) একাধিক হত্যা মামলায় ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আব্দুস শহীদকে। এ সময় তার বাসায় পাওয়া যায় নগদ দেশি ও বিদেশি কয়েক কোটি টাকা ও স্বর্ণালংকার। এমন খবরে জেলাজুড়ে সাবেক সরকারের কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদকে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তার গ্রেফতারের খবরে নিজ নির্বাচনী এলাকার নির্যাতিত মানুষজন আনন্দ মিছিল করেছেন। এ সময় তার অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফিরিয়ে আনাসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

ওএফএন/এসএইচএস/এমএস