স্বাস্থ্য

জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার নির্ণয় প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বিএসএমএমইউর ইলেক্ট্রনিক ডাটা ট্র্যাকিংসহ জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার নির্ণয় কর্মসূচি প্রকল্প থেকে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ প্রকল্পের আউটসোর্সিং নিয়োগপ্রাপ্ত ৬৯ জন কর্মচারীর বেতন ও সম্মানী থেকে এ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৬৯ জন কর্মচারীর পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন প্রকল্পের সহকারী প্রোগ্রামার প্রদীপ নাথ।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ চাইলে জানানো হয়- পরে পাঠানো হবে। নিয়োগে সম্মানী দেওয়ার বিষয় উল্লেখ আছে কি না এমন প্রশ্নে তারা জানান, তাদের কাছে নিয়োগপত্র নেই।

জানা গেছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ৬০১টি স্ক্রিনিং কেন্দ্র স্থাপন এবং প্রায় ৫০ লাখ নারীকে স্ক্রিনিং করা হয়। সবশেষ তথ্য মতে ২০২৪-২৫ মেয়াদের নো-কস্ট এক্সটেনশনের মাধ্যমে পুনরায় মেয়াদ বর্ধন করে প্রকল্পটি চলমান।

Advertisement

এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয় ২০২৪ সালের জুন মাসে। পরে নতুন করে মেয়াদ বাড়লেও আউটসোর্সিং লোকবল দেওয়া কোম্পানি স্কিল ম্যানপাওয়ার লিমিডেটের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি হয়নি। এমনকি কোম্পানির পক্ষ থেকে মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়টি কর্মচারীদের জানানো হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারাদেশের সরকারি নার্স ও চিকিৎসকরা মূলত এসব রোগীর সেবা দিয়ে থাকেন। আউটসোর্সিং নিয়োগপ্রাপ্তরা ট্রেনিংয়ের সঙ্গে জড়িত। তারা বিভিন্ন জেলায় জেলায় ঘুরে ট্রেনিং দিয়ে থাকেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুস সালাম খান জাগো নিউজকে বলেন, প্রকল্পটি মূলত ২০১৮ থেকে পর্যায়ক্রমে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুনে এর মেয়াদ শেষ হয়। এরপর আবার এক বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। আউটসোর্সিং লোক নিয়োগের বিষয়টিও এক বছর পর পর চুক্তি হয় ফার্মের সঙ্গে। এ ক্ষেত্রে ফাইনেন্স এর অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু এবার এ চুক্তি নবায়ন করা হয়নি।

তিনি বলেন, সম্প্রতি এক বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, প্রকল্পের সঙ্গে জড়িতরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে না। আগামী জুনে প্রকল্প শেষ করতে কোনো অসুবিধা হবে কি না? এমন প্রশ্নে ডিজি বলেছেন, কোনো অসুবিধা হবে না। মাঠ পর্যায়ে সরকারি কর্মচারীরা এ দায়িত্ব পালন করছেন।

Advertisement

এএএম/এমআইএইচএস/এএসএম