ফরিদপুরের সালথায় বিএনপির আনন্দ মিছিলে চাঁদাবাজি মামলার আসামি ও আওয়ামী লীগ কর্মীর উপস্থিতিতে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদের পদ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় উপজেলা বিএনপি এ মিছিলটি বের করে।
ওই আওয়ামী লীগ কর্মীর নাম কামরুল ইসলাম মজনু। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুল মতিন বাদশা মিয়ার ভাতিজা।
এছাড়াও একই মিছিলে চাঁদাবাজি ও লুটপাট মামলার প্রধান আসামি এবং উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার আজাদকে সামনের সারিতে দেখা গেছে।
Advertisement
এভাবে প্রকাশ্যে থানার সামনে ঘণ্টাব্যাপী আনন্দ মিছিল করলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার কিংবা আটক করতে দেখা যায়নি। এভাবে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি মামলার আসামি আনন্দ মিছিল করতে দেখে অবাক স্থানীয়রা। পুলিশ আনন্দ মিছিলের আশপাশে ছিল।
আনন্দ মিছিলটি সালথা উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে থেকে শুরু হয়ে বাইপাস সড়ক হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সালথা থানার সামনের সড়ক দিয়ে একই পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এমদাদ আলী খসরু, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার আজাদ, আওয়ামী লীগ কর্মী কামরুল ইসলাম মজনু, প্রচার সম্পাদক মো. নাসির মাতুব্বর, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কামরুল ইসলাম মজনু জাগো নিউজকে বলেন, আমার আত্মীয়-স্বজন আওয়ামী লীগ করেন কিন্তু আমি করি না। আর রাজনীতি করতে হলে দলীয় পদ থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আওয়ামী লীগ নেতার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। তবে তিনি মামলার আসামি বলে স্বীকার করেন।
Advertisement
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার আজাদ বলেন, থানা বা উপজেলার সামনে নয়। আমার ইউনিয়নের মধ্যে কাউলিকান্দায় মিছিল হয় এবং আমি সে মিছিলে ছিলাম।
এ ব্যাপারে সালথা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, খায়রুল বাশার আজাদ নির্দোষ। শত্রুতা করে তাকে মামলার আসামি করা হয়েছে। আনন্দ মিছিলে তিনি ছিলেন।
এ ব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। থানায় এমন কোনো অভিযোগও কেউ করেননি।
এন কে বি নয়ন/আরএইচ/এএসএম