ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৬০ জনে। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৯৪ জন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৫৮৭ জনে।
Advertisement
সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মৃতদের মধ্যে দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের, দুজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ও অন্যজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি এলাকার ২৭৯ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকার ১৪৮ জন রয়েছেন। এছাড়াও ঢাকা বিভাগে ২৬০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৯০ জন, খুলনা বিভাগে ১৪০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৮ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
Advertisement
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৭৩ হাজার ৫৮৭ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ৩৬০ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
Advertisement
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।
এএএম/এমআইএইচএস/এমএস