হঠাৎ ইরান সফরে গেছেন সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ফায়াদ আল-রুয়াইলি। সফরকালে ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এটি দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের পরের একটি বিরল উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।
Advertisement
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার (১০ নভেম্বর) তেহরানে ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর সদর দপ্তরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন সৌদি বাহিনীর প্রধান জেনারেল ফায়াদ আল-রুয়াইলি ইরানের জেনারেল চিফ অব স্টাফ জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরির সঙ্গে কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য আলোচনা করেন। বৈঠকে, রক্ষা কূটনীতি এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
ফার্স নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, জেনারেল বাঘেরি সৌদি নৌবাহিনীকে আগামী বছর ইরানি নৌ মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বা পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
এর আগে, ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন। পেজেশকিয়ান সৌদি যুবরাজ জানান, তিনি ব্যস্ততার কারণে রিয়াদে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পারবেন না। তবে, ইরানের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাবেন।
বিশেষজ্ঞরা এই বৈঠকগুলোকে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। আল-জাজিরার সঙ্গে আলাপকালে ইরান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ তোহিদ আসাদি বলেন, এই সফর মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে। তবে উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কাও রয়েছে।
২০১৬ সালে সৌদির কূটনৈতিক মিশনে হামলা হওয়ার পর ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। দুই দেশ দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়া ও ইয়েমেনের মতো আঞ্চলিক সংকটে বিপরীত পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে ২০২৩ সালে চীনের মধ্যস্থতায় দেশ দুটি সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে একমত হয়।
Advertisement
সূত্র: আল-জাজিরাকেএএ/