বেতন বৃদ্ধি ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলগুলোর ডাইনিংয়ে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীরা। দীর্ঘ ২০-২৫ বছর কিংবা তারও অধিক সময় ধরে অস্থায়ীভাবে মাসিক বেতনে কাজ করে আসছেন তারা।
Advertisement
সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন তারা। এসময় হলগুলোর ডাইনিংয়ে কর্মরত ডাইনিং বয় এবং ডাইনিং গার্ল, 'ডাইনিং সংস্করণ বিপ্লবের ডাক দেন। তারা জানান দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে তাদের।
মানববন্ধনে উপস্থিত কর্মচারীরা বলেন, আমরা হলের শিক্ষার্থীদের জন্য ডাইনিংয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। কিন্তু বিগত ৫২ বছর যাবত আমরা বৈষম্য ও অবহেলার স্বীকার হচ্ছি। ৩০-৩৫ বছর চাকরি করার পর আমাদের নেই কোনো ভবিষ্যৎ। কর্মচারী নিয়োগে সিন্ডিকেটে ৩৩ শতাংশ (ন্যূনতম) ডাইনিং থেকে প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের কর্মচারী মো. আবুল কাশেম বলেন, দীর্ঘ ২৭- ২৮ বছর ধরে এ হলের ডাইনিং এ কাজ করছি। ৫০০ টাকা বেতনে কাজ শুরু করে পরিবার চালিয়ে নিতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি হয়ে চার হাজার আশি টাকায় এসেছে; এদিয়ে একটা পরিবার কীভাবে চলে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ মুহূর্তে বর্তমান বাজার ও পরিস্থিতি সাপেক্ষে আমাদের চাকরি স্থায়ী করে ন্যায্য বেতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।
Advertisement
এ সময় তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আমাদের সঙ্গে ডাইনিং কর্মচারীরা এবং তাদের সন্তানরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমিকা রেখেছিল। এ আন্দোলনে আমাদের ডাইনিং কর্মচারীরা ভেবেছিল স্বৈরাচার পতনের পর যদি সারাদেশ সংস্কার হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ও সংস্কার হবে। কিন্ত না, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারিনি আমরা। শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের কথা চিন্তা না করে কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হতে পারে না। তাই আমরা এ সব শ্রমজীবীদের দাবি আদায়ে পাশে আছি।
সৈকত ইসলাম/আরএইচ/এমএস