দেশজুড়ে

লাশকাটা ঘরের মুমূর্ষু দশা

মাদারীপুর সদরসহ ৫টি উপজেলার ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কাটার কার্যক্রম চলে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে। দীর্ঘদিন ধরে পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ একতলা ভবনেই চলছে এ কার্যক্রম।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের লাশকাটা ঘরের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৪৪ সালে। পরে হাসপাতালের সামনের দিকে পূর্ব পাশের একটি ভবনে এর কার্যক্রম চলে। পরবর্তীতে হাসপাতালের পেছনে মরদেহ কাটার জন্য নির্মাণ করা হয় একতলা বিশিষ্ট লাশকাটা ঘর। সেখানেই বহু বছর ধরে চলছে মরদেহ কাটার কার্যক্রম। তবে দীর্ঘদিন ধরে ভবনটির কোথাও খসে পড়ছে পলেস্তারা, আবার কোথায়ও ভেঙে গেছে দরজা-জানালা, বিভিন্ন জায়গায় ফাটলও দেখা দিয়েছে। সেখানেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে কার্যক্রম। কয়েক দফায় ভবনটি সংস্কার করা হলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক ও ডোম কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের ডোম আলাল জমাদ্দার বলেন, আমি এখানে ৩০ বছর ধরে কাজ করছি। আমার দাদা ও বাবাও হাসপাতালে এই কাজ করেছে। বর্তমানে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। কাজ করতে গেলে পলেস্তারা খসে পড়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। তাই বড় কোনো দুর্ঘটনার আগেই এটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানাই।

মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মদ খান বলেন, হাসপাতালের পক্ষ থেকে বার বার গণপূর্ত অধিদফতরকে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। তাই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই মরদেহ কাটার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে।

Advertisement

মাদারীপুর গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, হাসপাতালের ময়নাতদন্ত কেন্দ্রের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন প্রয়োজন। এই প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলেই নতুন ভবন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

এফএ/জেআইএম