ইসলাম হলো চিরন্তন সত্য, মানবতার কল্যাণের মূর্ত প্রতীক। বিশ্ব মানবের সার্বিক কল্যাণ ও সাফল্যের একমাত্র পন্থা। আল্লাহ তাআলা সকল কল্যাণ এবং সাফল্যের বাণী কুরআনে লিপিবন্ধ করে দিয়েছেন। যা মানুষের কাছে পৌছে দেয়ার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ নবি হিসেবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রেরণ করেন। যার সত্যয়নে আল্লাহ তাআলা বলেন-(হে রাসুল!) নিশ্চয় আমি আপনাকে সত্য কথা নিয়ে সুসংবাদ দাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি। আর আপনাকে দোজখীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে না। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১১৯)এ আয়াতের ভাবার্থ হলো- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন সত্যের প্রতীক। সত্য ধর্ম (ইসলাম এবং কুরআন) নিয়েই সমগ্র বিশ্ব মানবের নিকট তাঁকে প্রেরণ করা হয়েছে। মানুষকে সত্যের পথে ডাকা, সঠিক পথের দিশা দেয়াই হলো তাঁর সুমহান কাজ।যারা বিশ্বনবির ওপর নাজিলকৃত (কুরআন) এ সত্যকে গ্রহণ করবে তাঁদের জন্য রয়েছে পরকালের চূড়ান্ত কল্যাণ ও বেহেশতের সুসংবাদ। তাইতো তিনি বাশির বা সুসংবাদ দাতা।পাশাপাশি যারা বিশ্বনবির এ সত্যের দাওয়াত গ্রহণ করেনি, ইসলামের বিধি-বিধানকে অমান্য করেছে, এমনকি বিশ্বনবির প্রতি অবাধ্যতামূলক আচরণ করেছে, তাদেরকে পরকালীন জিন্দেগির কঠোর শাস্তির কথা জানিয়ে সতর্ক করাও বিশ্বনবির কাজ। তাইতো তিনি তাদের জন্য নাজির বা ভয় প্রর্দশনকারী।এবং যারা বিশ্বনবির অবাধ্য হয়ে দোজখে যাবে তাদের ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হবে না বলে আল্লাহ তাআলা তাঁকে এ আয়াতে মাধ্যমে জানিয়ে দেন।সুতরাং যারা বিশ্বনবির পথে ও মতে চলবে, তাদের জন্য সফলতা। আর যারা তাঁর অবাধ্য হবে, তারাই হবে ব্যর্থ এবং দোজখের অধিবাসী।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্বনবির উপর নাজিলকৃত ঐশী বাণীর ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement