বিশেষ প্রতিবেদন

এক দিনের মজুরি এক মণ ধান

টাঙ্গাইলে চলছে বোরো ধান কাটার ধুম। প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে চাষীরা ক্ষেত থেকে পাকা ধান সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু বাজারে ধানের দাম খুব কম। এক মণ ধানের বিনিময়ে মিলছে একজন শ্রমিক।সরেজমিনে টাঙ্গাইলের এনায়েতপুর, বৈল্লা, গালাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার চাষীরা ধান কাটছেন এবং ঘরে তুলছেন। এ বিষয়ে কথা হয় বৈল্লা বাজারের চাষী এবং মিল মালিক ইকবাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি ২০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। এতে আমার ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশা করছি ৪০০ মণ ধান পাবো। এতে আমি লাভবান হবো না। ক্ষতিগ্রস্তও হবো না। কি কারণে এমন অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে ধানের দাম কম। ধানের দাম কম থাকায় আমাদের লাভবান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ধান কাটার কামলার দাম, সারের দামসহ প্রয়োজনীয় সকল কিছুরই দাম বেশি। শুধু ধানের দাম কম। প্রতি মণ ধানের দাম ৫শ টাকা আর একজন কামলার প্রতিদিনের মজুরি ৫শ টাকা। কথা হয় এনায়েতপুরের সেলিম মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি ২ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। ধানের দাম কম থাকায় আমাদের লোকসান হচ্ছে। গত বছরও ধান চাষে লোকসান হওয়ায় আমি এবার ধানের আবাদ কম করেছি। লাভবান হতে ধান চাষের জমিতে বিভিন্ন শাক-সবজির চাষ করেছি। শাক-সবজিতে খরচ কম হয়। তবে এতে লাভ বেশি। টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো আবুল হাসিম জানান, চলতি মৌসুমে (২০১৫-১৬) টাঙ্গাইলে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৬৬ হাজার ৬২১ হেক্টর জমিতে। আবাদ করা হয় এক লাখ ৬৮ হাজার ৭৬৯ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দুই হাজার ১৪৮ হেক্টর বেশি। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন।আরিফ উর রহমান টগর/এসএস/পিআর

Advertisement