রাজশাহী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের ডিজিটাল স্ক্রলিং বোর্ডে ‘রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক’ লেখার পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আবারও আসবে ভয়ংকর রূপে, সাবধান’ লেখাটি ভেসে উঠেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনেও অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে ডিজিটাল স্ক্রলিং বোর্ডে ওই বার্তাটি স্ক্রল হতে দেখা যায়। মুহূর্তেই এর ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে বসে কলেজ প্রশাসন।
ছাত্রলীগের বার্তা প্রচারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলী।
তিনি বলেন, বিষয়টা আমরা এখনো সুস্পষ্ট বর্ণনা দিতে পারছি না যে কে বা কারা করলো কিংবা কীভাবে ঘটলো। সন্ধ্যার সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। আমরা জানার চেষ্টা করছি কীভাবে এটি ঘটলো।
Advertisement
অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘আমরা কলেজ প্রশাসন বিষয়টা তদারকি করছি। আশা করছি অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করতে সক্ষম হবো। আমরা তাৎক্ষণিক মিটিং ডেকেছি। আমরা এটা শনাক্ত করবো।’
কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইব্রাহিম আলী বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি এখনো সঠিকভাবে অবগত নই। সবেমাত্র অধ্যক্ষ স্যার আমাকে এ বিষয়ে জানালেন। আমরা অপরাধীকে শনাক্তের জন্য আইটি বিশেষজ্ঞকে ডাকছি। দ্রুত শনাক্ত করবো আশা করছি।’
কলেজের আইটির দায়িত্বে থাকা আসলাম বলেন, ‘আমি বিকেল ৫টায় কম্পিউটার অফ করে চলে গেছি। কে করলো বা কীভাবে ঘটলো জানি না।’
তিনি বলেন, ‘এই অ্যাপটি এখন হ্যাক করা সম্ভব। হয়তো বাইরে থেকে কেউ ল্যাপটপ বা ফোন দিয়ে লেখাটি পরিচালনা করেছে।’
Advertisement
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। ইয়াসির আরাফাত নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এত বড় একটা কলেজের প্রশাসনিক ব্যবস্থা এত দুর্বল কীভাবে হয়? এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজের বর্তমান প্রশাসনের ওপর ভরসা হারিয়ে ফেলবে। এর দ্রুত সমাধান চাই।’
সাখাওয়াত হোসেন/এসআর/জিকেএস