জাতীয়

দুদক চেয়ারম্যান-কমিশনার নিয়োগে বাছাই কমিটি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগে সুপারিশ দিতে বাছাই কমিটি গঠন করেছে সরকার। পাঁচ সদস্যের এই কমিটির সভাপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হক।

Advertisement

রোববার (১০ নভেম্বর) বাছাই কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪’ অনুযায়ী, কমিশন তিনজন কমিশনারের সমন্বয়ে গঠিত হয়। তাদের মধ্য থেকে একজন হন চেয়ারম্যান। কমিশনারদের মেয়াদ পাঁচ বছর।

গত ২৯ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ও কমিশনার (অনুসন্ধান) আছিয়া খাতুন পদত্যাগ করেন। সবাই আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান।

Advertisement

বাছাই কমিটি গঠনের আদেশে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ দিতে ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪’ এর ৭ ধারা অনুযায়ী এই বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন সোনা বিক্রি করে কেনা হয় আইফোন, ডিপ ফ্রিজে টাকা  বাংলাদেশ নিয়ে গুজব, ভারতের রিপাবলিক বাংলা টিভি নিষিদ্ধের দাবি 

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম ও মো. মাহবুব হোসেন (সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব)।

বাছাই কমিটি কমিশনার নিয়োগে সুপারিশ দিতে উপস্থিত সদস্যদের কমপক্ষে ৩ জনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কমিশনারের প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে ২ জন ব্যক্তির নামের তালিকা প্রণয়ন করবে। এরপর আইনের ধারা ৬-এর অধীনে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বা হয়, কমপেক্ষে ৪ জন সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম হবে। এই বাছাই কমিটির কার্য-সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

Advertisement

আরএমএম/কেএসআর/জিকেএস