বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রায় ৩০ ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা। অবরোধের কারণে মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঢাকা, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা।
Advertisement
তবে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বিকল্প সড়ক ব্যবহারে অনুরোধে করে একটি ট্রাফিক আপডেট দেওয়া হয়েছে। ওই আপডেটে বলা হয়েছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীদের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে গার্মেন্টসের শ্রমিকগণ ভোগড়া বাইপাস ও মালেকের বাড়ির মাঝামাঝি কলম্বিয়া গার্মেন্টসের সামনে শনিবার থেকে শুরু করা মহাসড়ক অবরোধ এখন (বিকেল সাড়ে তিনটা) পর্যন্ত অব্যাহত আছে। বিধায়, যাত্রীদের বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ইব্রাহিম খান বলেন, আমরা শনিবার আন্দোলনের শুরু থেকেই গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের আমাদের ক্রাইম ডিভিশন, ট্রাফিক ডিভিশন, আমাদের শিল্প পুলিশ ও যৌথবাহিনী সবাই মিলে কলম্বিয়া গার্মেন্টসের সামনে টিএনজেডের শ্রমিকরা যে অবরোধ করে রেখেছে। আমরা তাদের বারবার বলেছি রাস্তাটা ছেড়ে দিয়ে সরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা যে বেতন পাচ্ছে না, এটার দাবিতে তারা অবস্থান নিয়েছে।
আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। তারা গত মঙ্গলবার বলেছিল, বৃহস্পতিবার তাদের সেলারি দিবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার দেয়নি। আমরা বারবার তাদের অনুরোধ করছি, যে মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কারণ ঢাকা-ময়মনসিংহমুখী যে মহাসড়ক আছে এখানে প্রচুর লোক যাতায়াত করে এছাড়াও শিল্প অধ্যুষিত এলাকা।
Advertisement
আমরা যেটা করছি, ময়মনসিংহ থেকে বা টাঙ্গাইল থেকে যে গাড়ি গুলো আসছে সেগুলোকে আমরা ভোগড়া থেকে ডাইভারসন দিচ্ছি। ঢাকা বাইপাস হয়ে, কাঞ্চন ব্রিজ হয়ে বা তিনশ ফিট হয়ে যাতে ঢাকায় যেতে পারে।
অপরদিকে ঢাকা থেকে যেগুলো ময়মনসিংহমুখী গাড়ি স্টেশন রোড হয়ে মিরেরবাজার হয়ে ওদিক দিয়ে ঢাকা বাইপাস হয়ে তারা আসতে পারে। কিন্তু এতই বেশি গাড়ির চাপ দুদিকেই যানজটের তৈরি হয়েছে। যারা রাস্তাগুলো ভেতরে ভেতরে চিনে তারা ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখনো চেষ্টা করছি। তাদের বুঝানোর চেষ্টা করছি। যৌথ বাহিনীসহ আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি তাদের বুঝানোর। তারা যেন মহাসড়ক ছেড়ে মালিকের সঙ্গে কথা বলার জন্য।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মহাসড়কটি শ্রমিকরা অবরোধ করে রেখেছেন।
মো. আমিনুল ইসলাম/আরএইচ/জেআইএম
Advertisement