সিরিজ বাঁচাতে হলে জিততেই হবে। হারলেই সিরিজ হাতছাড়া। এমন পরিস্থিতিতে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে ৬৮ রানের বড় ব্যবধানেই হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সমতা ফিরিয়ে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনাও ধরে রেখেছে টাইগাররা।
Advertisement
প্রথম ম্যাচেও ২৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জয়ের কক্ষপথেই ছিল বাংলাদেশ; কিন্তু এক গজনফরকে পড়তে না পারায় অকাতরে উইকেট বিলাতে হয়েছে। ফলস্বরূপ ৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে হার।
আজ অবশ্য টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর সেই গজনফারকে বেশ ভালোভাবেই সামলেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তানজিদ তামিম এবং নাসুম আহমেদ ছাড়া আর কেউ গজনফারকে উইকেট দেয়নি। ফলে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ২৫২ রানে।
এই রান তাড়া করতে নেমে সেদিকুল্লাহ আতাল আর রহমত শাহ শুরুতে একটু প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু তাদের এই প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে। শেষ পর্যন্ত ৪৩.৩ ওভারে ১৮৪ রান তুলতে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান।
Advertisement
২৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রহমানুল্লাহ গুরবাজের উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। এরপরই ৫২ রানের জুটি গড়ে তোলেন সেদিকুল্লাহ আতাল এবং রহমত শাহ। এই জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। ৫১ বলে ৩৯ রান করে আউট হন আতাল। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট পড়তে থাকে আফগানদের।
মোস্তাফিজুর রহমানের বলে হাশমতউল্লাহ শহিদি আউট হন ১৭ রান করে। আজমতউল্লাহ ওমরজাই গোল্ডেন ডাক মেরে বসেন, নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে। গুলবাদিন নাইব ২৬ রান করে আউট হন। মোহাম্মদ নবি করেন ১৭ রান। রশিদ খান ১৪ রান করে আউট হন মোস্তাফিজের বলে। পরের ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের বোলারদের সামনে। শেষ পর্যন্ত ৪৩.৩ ওভারে ১৮৪ রান করে অলআউট আফগানিস্তান।
নাসুম আহমেদ নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান। একটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। ব্যাট হাতে ৭৬ রানের সময়োপযোগী ইনিংস খেলা অধিনায়ক শান্ত ম্যাচসেরা হয়েছেন।
সিরিজের শেষ ম্যাচ একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ১১ নভেম্বর, বিকেল ৪টায়।
Advertisement
আইএইচএস/এমকেআর