টেন্ডারকে কেন্দ্র করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জেলা বিএনপির নেতা এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলুকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
Advertisement
শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ছোটলু যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের শ্যালক।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে হাসপাতালের পাঁচ কোটি টাকার চিকিৎসা উপকরণ সরবরাহের টেন্ডারের সব কাজ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন ছোটলু। এ কারণে তার নেতৃত্বে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন-অর রশিদকে লাঞ্ছিত করা হয়।
Advertisement
লাঞ্ছিত করার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ছোটলুকে শোকজ ও যুবদল নেতা হাবিবুল্লাহকে বহিষ্কার করে দলটি। এবার শোকজের একদিন পর ছোটলুকে বহিষ্কার করা হলো।
আরও পড়ুন ৫ কোটির টেন্ডার পেতে উত্তেজিত বিএনপি নেতা, তত্ত্বাবধায়ক লাঞ্ছিতএ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক বা ঠিকাদারি কাজে কেউ অনৈতিক সুবিধা নিতে চাইলে সে ব্যক্তি দলের যেকোনো স্তরের নেতা বা কর্মী হোক, তার বিরুদ্ধে দল কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জেলা বিএনপি বিষয়টি নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য মনে করে এবং এর তীব্র নিন্দা জানায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই নেতাকেই বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে এ কে শরফুদ্দৌলার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। হাসপাতাল সূত্র জানায়, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পাঁচ কোটি টাকার চিকিৎসা উপকরণ সরবরাহের (এমএসআর) টেন্ডারের সব কাজ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হন শরফুদ্দৌলা ছোটলু। বৃহস্পতিবার সকালে তার নেতৃত্বে হাসপাতালের অফিস কক্ষে তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
Advertisement
মিলন রহমান/এসআর/জিকেএস