দেশের মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি, আর্থসামাজিক অবক্ষয় ও যাবতীয় ক্ষতির কথা বিবেচনা করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা এবং তার প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি।
Advertisement
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন বক্তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) এবং ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পূয়র-ডব়্প যৌথভাবে আলোচনা সভাটি আয়োজন করে।
সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য ডব্লিউএইচও ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রণীত খসড়ার সংশোধনীতে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
Advertisement
প্রস্তাবগুলো হলো- সব পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাক পণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ই সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাক পণ্যের সব প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রি বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডব়্প-এর উপ-নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান। তিনি বলেন, ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন এখন অর্ন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকের উপর নির্ভর করছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই বিষয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করবে। তাদের মতামত ও পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ পরিমার্জিত খসড়াটি পুনরায় উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে উপস্থাপন করবে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। ডুজার সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহির সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ডব়্প-এর উপদেষ্টা মো.আজহার আলী তালুকদার। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা এবং আব্দুল কাদের।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা তামাকের স্বাস্থ্যঝুঁকি, তামাক নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা এবং সংশোধনী আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য জনস্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তাও উল্লেখ করেন তারা।
Advertisement
এমএইচএ/এসআইটি/জিকেএস